পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় Got No. রন্ধনবিদ্যা-বিশারদ বলিয়া খ্যাত। কৈসার ফরাসী খানার তেমন পক্ষপাতী নহেন; তিনি খাট জৰ্ম্মান খানাই পছন্দ করেন, ইহা বুঝিয়া জেডিকে রন্ধনের আদর্শ পরিবৰ্ত্তিত করিয়া সম্রাটকে খুন্সী রাখিতেন। জেডিকের রান্না সম্রাট অত্যন্ত তৃপ্তির সহিত ভোজন করিতেন। জেডিকে ফরাসী দেশের অনেক ব্যঞ্জনের জন্মান নাম দিয়াছিলেন । রন্ধন ফরাসী ধরণে ভউক,-কিন্তু ব্যঞ্জনের জন্মান নাম হওয়া চাই ; তাহা হইলে ভোজনে সম্রাটের তৃপ্তির অভাব হয় না । কৈসারের নাপিতের নাম হের হাবি। ইনি জৰ্ম্মান সমাটের ক্ষৌরকার,—সুতরাং বড় সাধারণ লোক নহেন ! এই নরসুন্দর আসাধারণ ধূৰ্ত্ত। আমরা কৈসারের চিত্রপটে তাহার যে আকাশমুখো গোফ . দেখিতে পাই, নরসুন্দর হাবিই এই জগদ্বিখ্যাত অদৃষ্টপূৰ্ব্ব গুদ্ধের আবিষ্কৰ্ত্তা । হের হাবি ইংলণ্ডেও অপরিচিত নহেন। লোকটি श्रुत জোয়ান, দেখিতে সৈনিক পুরুষের ন্যায় ভঙ্গিবিশিষ্ট ; তঁহার উৰ্দ্ধমুখী বিরাট গোফের বাহার দেখিয়া উইণ্ডসরের ছোট ছোট ছেলেরা তঁহাকে কৈসার বলিয়া ভ্ৰম করিত ; তঁহাকে পথে বাহির হইতে দেখিলেই "তাহারা তাহার অভ্ৰভেদী গোফের জন্য হাততালি দিয়া বিদ্রুপ করিত। কৈসারের গুস্ফের প্রসাধনের জন্য হের হাবি একপ্রকার আরোক প্ৰস্তুত করেন ; এই আরোকের নাম দিয়াছিলেম, “এস-ইষ্ট-এরিচ।”— ইহার মূল্য অত্যন্ত অধিক। এই দ্রব পদার্থে কৈসারের একচেট অধিকার ; তিনি ভিন্ন অন্য কেহ তাহা ব্যবহার করিতে পারে না ; আর তাহা কিনিতে পাইলে ত সকলে ব্যবহার করিবে -কিন্তু কৈসারের উৰ্দ্ধমুখী সূচ্যগ্ৰ গোঁফের বাহার দেখিয়া যত গুফো জৰ্ম্মান সেইরূপ গোফ লাভ করিবার জন্য ক্ষেপিয়া দাড়াইল । সকল দেশেই গডালিকাপ্রবাহ ফ্যাসানের অন্ধ স্তাবক। এক সময় “এলবাৰ্ট ফ্যাসানের টেরি”