পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8ህ ̇ ̇ কোন পথে ? চিঠি ( যার নকল মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল ) এবং ৩০শে অক্টোবর ও ১৪ই নভেম্বর প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারিন্টেণ্ডেণ্টকে লেখা গোপনীয় যে চিঠি যথারীতি সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেই সূত্রে বর্তমান চিঠি লিখছি। এই চিঠিতে আমার নিজের অবস্থা সম্পর্কে যা বলার আছে তার পুনরাবৃত্তি করব এবং সেইসঙ্গে কাগজেকলমে লিখে রাখব কোন কোন কারণ আমাকে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে বাপ্য করছে । আপনাদের কাছ থেকে প্ৰতিকার পাব আমার সে আশা আর নেই । অতএব আমি দুটি মাত্র অনুরোধ করব । দ্বিতীয় অনুরোধের কপা এই চিঠির শেষে বলা থাকবে । আমার প্রথম অনুরোধ, এই চিঠি পানি সরকারী মহাফেজখানায় যেন সযত্নে রক্ষা করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে আমার যে সকল দেশবাসী আপনাদের পদাধিকারী হবেন। তঁরা এটি দেখতে পান । এতে আমার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি বাণী আছে এবং এই কারণেই এটি আমার রাজনৈতিক প্ৰতীতি । সরকারিভাবে কোন কারণ বা যুক্তি না দেখিয়ে বাংলা সরকারের আদেশে ভারতরক্ষা নিয়মাবলীর ১২৯ ধারা অনুযায়ী ১৯৪০-এর ১ারা জুলাই আমাকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরে সরকারী সূত্রে প্রথম যে কারণ দেখানো হয় তা আসে। ভারতসচিব রাইট অনারেবল মিস্টার অ্যামেরি-র কাছ থেকে । তিনি হাউস অফ কমনস-এ অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে কলিকাতায় হলওয়েল মনুমেণ্ট ধ্বংস করবার অন্দোলনের সূত্রে আমাকে গ্রেপপ্তার করা হয়েছে । মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীও বঙ্গীয় আইনসভার এক অধিবেশনে এই উক্তি কাৰ্যত সমৰ্পন করেন এবং বলেন যে আমার মুক্তির পথে অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে। হলওয়েল মনুমেণ্ট সত্যাগ্ৰহ। সরকার যখন মনুমেণ্টটি অপসারণ করার সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করেন, সেই সূত্রে বিনা বিচারে যার আটক ছিল তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হল, দেওয়া হল না। শুধু শ্ৰীনরেন্দ্ৰ নারায়ণ চক্রবর্তি এম. এল. এ.কে এবং আমাকে । ১৯৪০