পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wy কোন পথে ? হয়ে উঠেছিল যে, অন্তত উত্তর-ভারত সম্পর্কে স্বতঃপ্ৰবৃত্ত জনসমর্থন ফরওয়ার্ড ব্লক আশা করতে পারে। তা জনতার চিত্ত জয় করেছে এবং এরই মধ্যে “ফরওয়ার্ড ব্লক জিন্দাবাদ” জনতার স্লোগান হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু উত্তর-ভারতই ভারতবর্ষ নয়। বোম্বাইয়ে, মাদ্রাজে ও অন্যত্র রয়েছে দক্ষীণপন্থীদের ঘাটি এবং যতক্ষণ পৰ্যন্ত সেই ঘাটিগুলি পযুদস্ত না হচ্ছে সমগ্ৰ ভারত সম্পর্কে কোন সাধারণ উক্তি করা চলে না। অতএব আমি পেশাওয়ারে ফ্রন্টিয়ার মেল ধরে সোজা বোম্বাইয়ে চলে আসি । সেখানে শ্ৰীযুক্ত কে. এফ. নরিমান ফরািরয়ার্ড ব্লকের সারা ভারত কনফারেন্সের জন্য ব্যবস্থাপনা করছিলেন । S ১৯৩৮-এর ফেব্রুয়ারী মাসে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি বোম্বাই গিয়েছিলাম । হরিপুরা কংগ্রেস থেকে সোজা যখন সেখানে আসি, পৌছনোর সঙ্গে সঙ্গে আমাকে সাড়ম্বরে সংবর্ধনা জানানো হয়। সেই অনুষ্ঠানে ছিল সবার সহযোগিতা এবং এই কারণেই তা অভূতপূর্ব হয়েছিল। এবারে ( ১৯৩৯-এর জুন মাসে ) অবস্থা ছিল ভিন্ন প্রকার। আমি আর প্রেসিডেন্ট নই। ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফ থেকে আমি ঘুরে বেড়াচ্ছি, অতএব কংগ্রেস হাইকমাণ্ড আমাকে ১নং বিদ্রোহীর ছাপ দেগে দিয়েছে । দেশের শত্রু বলে আমাকে ঘোষণা করা যায় না, যেহেতু মহাত্মা গান্ধী তার কোন এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন—“যতই হোক সুভাষীবাবু দেশের শত্রু নন।” গান্ধীবাদীদের ঘাঁটি বােম্বাই এইরকম লোককে কিভাৰে অভ্যর্থনা জানাবে ? ২২শে ও ২৩শে জুন সেখানে যে ফরওয়ার্ড ব্লকের সারা ভারত কনফারেন্স বসবার কথা আছে তার কী হাল হবে ? আমি যখন “ভারতের সিংহদ্বার-এর দিকে এগিয়ে চলেছি তখন এই সব প্রশ্ন স্বভাবত অমীমার মনকে ভাবিয়ে তুলেছিল। কিন্তু আমি আশা