পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাইকমাণ্ড কোন পথে ? 6S বিশেষ করে মন্ত্রীমহলের মনোভাব, দক্ষিণপন্থীদের আয়ত্তাধীন কংগ্রেস কমিটিগুলিতে প্ৰস্তুতির অভাব-এইগুলির এবং এদের সঙ্গে আরও অন্যান্য কারণের একটিমাত্র অর্থ ও তাৎপৰ্য থাকা সম্ভব, এবং দিল্পীর ও হোয়াইট হলের কর্তৃপক্ষের পক্ষে এই অনুমান করা স্বাভাবিক যে, কংগ্রেস ফ্রন্টে সব কিছু শান্ত থাকবে । এই অনুমান যুক্তিসঙ্গত, তবে এতে একটি হিসাবের ভুল ছিল। কংগ্রেস স্থিতিধর্ম নয়, কিংবা সম্পূর্ণভাবে একমতাবলম্বীদের সংস্থাও নয়। অতএব কংগ্রেসের ভিতরে যারা আছে তাদের পক্ষে কংগ্রেসকে প্ৰভাবিত করা সম্ভব এবং এমন কাজ করানোও সম্ভব যা বাইরের লোকের কাছে কংগ্রেসের স্বীকৃত পন্থার ব্যতিক্রম বলে অথবা, কিছু না হোক, সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত একটা घ ८ब् न् श८ऊ >iद्र ! জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীদের পদত্যাগকে দেখলে সাধারণ লোকের কাছে বা বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা বলে গণ্য নাও হতে পারে। অতএব সে তার সাধারণ বুদ্ধি অনুযায়ী তার ‘সাদামাটা’ ন্যায় বুদ্ধি মতে আশা করবে, এই কাজ থেকে যুক্তিসঙ্গীত পরিণামের দিকে এগিয়ে যেতে যা কিছু করা দরকার সবই করা হবে । তুরীয় ন্যায়বুদ্ধি-কথাটা যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি-তার ধারণা বদলাতে পারবে না, এবং এই সঙ্কটময় মুহুর্তে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির যদি ভারতের স্বার্থের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিপ্ৰায় না থাকে। তবে তাদের এই মৌলিক সত্যটি প্ৰণিধান করা কর্তব্য। বিচক্ষণতা ও সতর্কতার নামে, এমনকি সত্য ও অহিংসার দোহাই দিয়ে যা কিছু ওজর আপত্তি, গুরুত্ব হ্রাস করার পক্ষে যা কিছু কৈফিয়ত এখন পেশ, করা হচ্ছে, কিছুতেই সাধারণের এই দাবি বিন্দুমাত্রও শিথিল করতে পারবে না যে, আজ আমরা যতই দুরবস্থায় পতিত হই না কেন, আমাদের সম্মান ও স্বার্থের কথা বিবেচনা করে কংগ্রেসকে তার লক্ষ্যপথে এগিয়ে যেতে হবে । জাতির আত্মার এই প্ৰাথমিক দাবিকে কেবলমাত্র আমাদের সমূহ সর্বনাশের বিনিময়েই অগ্ৰাহ করা যেতে পারে ।