পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

წაყი কোন পথে ? জনসাধারণ একটি প্ৰগতিশীল নীতি ও পন্থা চাইছে অথচ মহাত্মা গান্ধী গত বারো মাস কিংবা তারও বেশীদিন ধরে দৃঢ়তার সঙ্গে তা বাধা দিয়ে আসছেন। তঁর মতের সমর্থনে বাধাধরা যে যুক্তি পেশ করা হয়েছে সেই যুক্তি প্ৰধানত দুটি-প্রথমত, কংগ্রেসের মধ্যে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে এবং দ্বিতীয়ত, জাতীয় সংগ্রাম যদি শুরু করা হয় তাহলে হিংসার প্রাদুর্ভাব অনিবাৰ্য । আমরা অতীতে অনেকবার বলেছি, এই সব যুক্তির অকাট্যতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে এবং কোন ক্ষেত্রেই আমাদের অগ্ৰগতিকে প্ৰতিহত করার কৈফিয়ত হিসেবে ঐ যুক্তিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে না । সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে ওই যুক্তিগুলির সঙ্গে তৃতীয় একটি যুক্তি যোগ করা হল—যথা, আইন অমান্য শুরু করলে তার পরে পরেই হিন্দু মুসলিম দাঙ্গ বেধে যাবে, ইত্যাদি। এর চেয়ে ভুল বা বাজে যুক্তি কিছু কল্পনা করা যায় না। যে হিন্দু মুসলমানদের এইরকম গুরুতর অপবাদের ভাগী করা হল, আমরা নিঃসন্দেহ যে, তারা দৃঢ়তার সঙ্গে এই অভিযোগ অস্বীকার করবে। আমাদের যা ধারণা ও সংবাদ তাতে মনে হয়, কংগ্রেসের তরফে তৎপর হয়ে এগিয়ে গেলে বর্তমান সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের রীতিমত উন্নতি হবে এবং এই দুটি সম্প্রদায় পরস্পরের এত কাছে আসবে যা পূর্বে কখনও সম্ভব श्झनि । আপনাৱা যদি এগিয়ে যাবার জন্য প্ৰস্তুত না হন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় খোলাখুলিভাবে তা বললেই তো হয়! যে সব যুক্তিতর্ক ধোপে টেকে না। তাই দিয়ে প্রসঙ্গটাকে অস্পষ্ট করার কারণ কী ? বামপন্থীদের পথ একেবারে সুস্পষ্ট এবং তা একাধিকবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তৎপর হয়ে যদি এগিয়ে না। যায়, আমরা যাব । মহাত্মা গান্ধী বা ওয়ার্কিং কমিটি ব্লয়ত ভয়ই দেখান না কেন, কিছুতেই আমাদের দমাতে পারবে না । এবং যদি তারা বাধা দিতে আসেন, সাহসের সঙ্গে আমরা সেই বাধার সম্মুখীন 喜マ 」