পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@b" কোরাণতত্ত্ব । বাধ্য হইয়া উক্ত ঘটনা ব্যক্ত করেন। আহারান্তে নারায়ণ দেখিতে পাইলেন ব্রাহ্মণের একটি অতি সুন্দর গাভী আছে। ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণী সৰ্ব্বদ। তাহার শুশ্রীষা করে ও আহারাদি যোগায়। তখন নারায়ণ বললেন এই গাভিটি এখনই মৃত্যুমুখে পতিত হউক” । বলিবামাত্র গাভিট মরিয়া গেল। তখন নারদ নারায়ণকে নানারূপ দোষারোপ করিয়া স্বস্থানে প্রস্থান করিলেন। নারায়ণও গোলকধামে ফিরিয়া আসিলেন। কিছু দিন পরে ঐ সমস্ত ঘটনার সারমৰ্ম্ম জানিবার জন্য ইচ্ছা করিলে নারায়ণ বললেন ; মুদীকে স্বর্ণনিৰ্ম্মিত বাটী দিবার উদ্দেশ্য যে সেই দিবস হইতে আরও ঐরূপ লাভের প্রত্যাশায় পথিকদিগকে আশ্রয় দিতেছে অথচ তজ্জন্য তাহার কোন পুণ্যসঞ্চয় হইতেছে না। পথিকগণ আশ্রয় পাইবে এই উদ্দেশ্যেই দেওয়া হইয়াছিল। ধনাঢ্য ব্যক্তিকে অতুল ঐশ্বৰ্য্য দিবার কারণ এই যে সে ধনমদে মত্ত হইয়া ভগবানের আরাধনা করিবে না। পরকালে অনন্ত নরক ভোগ করিবে । ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণী অধিকাংশ সময় গভীর সেবা শুশ্রুষায় অতিবাহিত করিত তাহাতে আরাধনায় বাধা ঘটিত । উক্ত বাধা দূর করিয়া দেওয়ার অভিপ্রায়ে গাভীটকে নষ্ট করা হইয়াছিল। বর্তমানে তাহারা আরাধনা দ্বারা মৎপরায়ণ হওয়ায় আমার নিকট বাস করিতেছে। মহম্মদ (আলা ) উক্ত উপদেশ দিবার জন্য অর্থাৎ ভগবান কখন কোন উদ্দেশ্যে কোন কাৰ্য্য করেন তাহ মানব বুদ্ধির অতীত। খাজা খেজের ও মুসার গল্পের ছলে উক্ত উপদেশ দিয়া গিয়াছেন কিন্তু তাহার সারতত্ত্ব এখনও