পাতা:ক্রমশ ফসিলের মত একটা শব্দ.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিম শোকের হারপুনে কনকনে হিম শোকের হারপুনে কলজেট বিধে দুশ্চিস্তার মুগুরে মগজটা ভেঙে চুরে গুড়িয়ে শব্দের আর আলোর মহাজাগতিক গতিকেও পেছনে ফেলে ছুটছি - ছুটছি সেই রঙজলা থমথমে কালচে দরজাটার দিকে প্রেতাত্মার মতো যে-দরজার ভাঙাচোরা পাল্লা দুটোকে ঘৃণায় লাথি মেরে হাট ক’রে ফেলে এসেছি নক্ষত্র রায়ের যুগে । জল্লাদের মিশমিশে কালো শিরবেরকরা আঙুলগুলো তুলতুলে ভালোবাসার মেরুন সাদা পালক ছিড়ে ফেললে যীশুর পবিত্র রক্তের ফোটার চারপাশে পি পড়ের মতো অসংখ্য চিড়িয়াখানা গজিয়ে ওঠে, মানুষের বাজপড়া অগস্তানা ক্রমশই হায়নায় গিজগিজ ক’রতে থাকে । সন্ন্যাসীর গেরুয়া ঝোলাটা কাধে তুলে নিয়ে কখন কিভাবে যেন অতীতটাকে কালিতোলা ইরেজারে ঘবে তুলে ফেলেছিলাম । মনে হয়েছিল, কস্তুরীযুগের মতো ভালোবাসা-টালোবাসা পুষলে-টুষলে মাহুষের বনবাদাড়ে নিরাপত্তাহীন ছোটাছুটি করতেই হবে – পালিয়ে যেতে হবে মানুষের কাছ থেকেই লুকিয়ে চুরিয়ে কোনো স্বপ্নের স্বর্ণরেখার জলপ্রপাতের দিকে দীর্ঘশ্বাস লুকোতে । কিন্তু কৈশোরের কিছু পলাশ স্মৃতি আচমকা আগুনের লাগাম টেনে ধরলে আমি উধব খালে ছুটেও প্রিয়তম জ্যাঠুমণির প্রাণহীন পাজরায় দু’ফোট গরম চোখের জলও রাখতে পারলামনা, আমার মুমুমু মায়ের জীর্ণ বুকে বালকের মতো একাস্ত আশ্রয়ে শুধু মুহূর্তের জন্যে চোখমুখ লুকিয়ে ফেলতে পারলাম । ঈশ্বর, অামার কলজেট হিমাশোকের হারপুনে কেবলই বিধে যাক ছুশ্চিস্তার মুগুরে মগজের অভিমানী মহাপ্রাচীরটা ভেঙে চুরে গুড়িয়ে যাক – অামার পেছনে পড়ে থাকা ভালোবাসার ছেড়া খোড়া রক্তাক্ত পালকগুলো কুড়িয়ে বাড়িয়ে ভিখিরির মতো আমার রুগ্ন বুকেই আবার গেঁথে নিই। 38