পাতা:খতিয়ান - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খতিয়ান “ክእ» পারে। পঙ্কজিনী ওঠে নিজের গরজেই । আর ওঠে বলে রান্নাঘরের তালার চাবিটাও রাখে নিজের কাছে। রান্নাঘরের তালা খুলে দাত মাজার জন্য উনানের তল থেকে ঘুটের ছাই নেয়। সেদিন তালা খুলতে গিয়ে স্থাখে, শিকলটার গোড়া উপড়ানো। যা কিছু শীতল ঘরে সব চুরি হয়ে গেছে। বিশেষ কিছু ছিল মা রান্নাঘরে, দামী জিনিষ একটিও নয়। বাসনপত্র সব রাত্রে রাজেনদের ঘরে জমা থাকে। রান্নাঘরের দরজাটা কমজোরী, টেপা তালাটা বাজে। একান্ত অবহেলার সঙ্গে রান্নাঘরে শুধু ফেলে রাখা হয়। দৈনিক ব্যবহারের তেলের পাত্ৰ, চিনির বৈয়ম, ডালের হঁাড়ি মসলাপাতির ছোট ছোট টিন, তরকারীর টুকরি, হাতাটা খুন্তিটা ফটাে এলুমিনিয়মের বাটটা, টুকিটাকি জিনিষ। হাতা খুন্তি ফটাে বাটি বাদে চোর সব ঝেড়ে পুছে নিয়ে গেছে। কোণে পিাড়িটার ওপর পোয়াটাক পেয়াজ রাখা হয়েছিল, তাও বাদ দেয়নি। অথচ আশ্চৰ্য্য এই, একটা সত্যিকারের দামী জিনিষ ফেলে গেছে। কাল বেড়াতে এসেছিল। কয়েকজন, আলমারী থেকে বার করা হয়েছিল দামী চায়ের সেটটা, ভুলে সেটা রান্নাঘরেই থেকে গিয়েছিল ৷ চিনি রাখা সস্তা ফাটল ধরা বৈয়মটা চোর নিয়ে গেছে কিন্তু চায়ের সেটটা স্পর্শও করেনি । দামী কিছু না যাক, দরজা ভেঙ্গে চুরি হয়েছে বাড়ীতে । কেদারের DD BDBDDB L BBDB DDB DBB BDDK BDBD DD DS সবাইকে ডেকে তোলা তো দুগগা । ঝিকে এই নির্দেশ দিয়ে পঙ্কজিনী তার তার করে ওপরে উঠে যায়। কেদারকে উঠতে হয় বিছানা ছেড়ে কিন্তু বড়ই সে অসুখী ও ভূপৃষ্ঠষ্ট ;