পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X8 খাদে ভাকাতি আমার স্নেহময়ী ক্ষুদ্র ভাগিনেয়ী ; তার সুধামাখা কণ্ঠস্বরে আমি যেন একটা মাতৃকণ্ঠের আহবান শুনতে পাই । তার ছোট করস্পর্শে আমার শরীরে ব’য়ে যায় একটা পুলক শিহরণ—কত কোমল, কত স্নিগ্ধ সে স্পর্শ। আমি যেন তার সন্তান, এমনি ভাবে সে আমাকে তার স্নেহ দিয়ে ঢেকে রাখতে চায় । আমিও তাই তাকে ডাকি, বুড়ীমা বলে । —একে এতেই তুমি সন্ধ্যের পর বাড়ীর বের হতে পার না ; তার ওপর ভূতের গল্প শুনে ঘরের ভেতর দিনের বেলায় ভূতের ছায়া দেখে যে তাৎকে উঠবে বুড়ীম ! হেসে ব’ললাম । —তবে তোমার যা ইচ্ছে তাই বল’ । —এটা বিজ্ঞানের যুগ ; মানুষের প্রতি পদক্ষেপে, বিজ্ঞান ক’রছে তাকে সাহায্য, তা’কে চলাচ্ছে, বলাচ্ছে, তিনমাসের কাজ করে দিচ্ছে তিনদিনে শেষ । তাই তোমাকে ব’লব একটা জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা । —বাপ রে ; অত বড় বড় কথা বলোনা মামা, সোজা ক’রে বল ; যেন আমি বুঝতে পারি ; যেন আমিও বুঝিয়ে ব’লতে পারি আর পাচজনের কাছে। কথা ক’টা বলে মিণ্ট, স্থির হয়ে ব’সল । —শোন ; আজ তুমি পৃথিবীটাকে যেমন দেখছ, পৃথিবী এত সভ্য, এত শিক্ষিত এবং এত উন্নত ছিল না আগে । এমন কি একশ বছর আগেকার পৃথিবীর সঙ্গে আজকের পৃথিবীর তুলনা