বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ খাদে ডাকাত্তি র্তাদের চলে না। তাই, তাচ্ছিল্য ভরেই জিজ্ঞেস ক’রেছিলেন— কিরে ছোড়া, খেটে খেতে পারিস না ? কি নাম তোর ; কি জাত ? তেমনি অনুনয়ের স্বরেই রমনা জবাব দিয়েছিল—আমার নাম বাবু, রমন ; জাতে আমি চায। আমাকে কাজ দেবেন বাবু ? তার চোখে মুখে ফুটে উঠলো আশার আলো । জমিদারবাবু গম্ভীর হয়ে কিছুক্ষণ কি যেন ভাবলেন, তারপর ব’ললেন–আচ্ছা, উঠে ব’স গাড়ীতে । রমনা তাড়াতাড়ি তার ভিক্ষে করবার ভাঙ্গাবাটিটা বুকে চেপে গাড়ীর পা-রাখবারজায়গায় উঠে ব’সলো । সেই থেকে রমনা, জমিদারের বাড়ীতে ছেলে-ভোলানো চাকরি পেয়ে গেছে । সে আজ তু’বছর আগের কথা । জমিদার বাবুর মধুর রমনা সম্বোধনেই সে আজ সকলের কাছে পরিচিত । তা’র বাপ-মা’র দেওয়া অাদরের নামটা, আজি হয়ত অন্য সকলের মত, তা’র নিজেরও মনে নেই । যত সহজে রমণা তা’র চাকরিটা জুটিয়ে নিয়েছিল, ততট নির্বিবঘ্নে দু’টো বছর তার কাটেনি। অপমান, লাঞ্ছনা, মারধর, এই দুটো বছরে, বিনা কারণে সে অনেকই সহ্য করেছে। দাড়িয়ে দাড়িয়ে মার খেয়েছে, স্থির নিশ্চল হ’য়ে ; চোখ দিয়ে ঝরে গেছে, অশ্রুর বন্য ; তবু রমনা প্রতিবাদ করেনি ।...কোনও জিনিষ পাওয়া যাচ্ছে না, ধর বাচ্চ নূতন চাকর রমনাকে ; কিছু ভেঙ্গে গেছে, ঠাকুর-চাকরের রমনাকে দেখিয়ে দেয় ; রমনা কিন্তু চুপ ক’রে