পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাক ক্রিয়া >> > পৃথক হইয়া জীর্ণ হইয়া থাকে । পিত্ত্বরস ও ক্লোম রসের অভাব হইলে ঘৃত তৈল প্রভৃতি কখন পরিপাক হয় না । কিন্তু ইক্ষু শর্করার উপব ইহার কোন ক্রিয়া নাই । অন্ত্ররস —উপরোক্ত চারি প্রকার রস দ্বারা ভুক্ত দ্রব্যের যাহা কিছু অপাচ্য থাকে তাহা অস্ত্ররস দ্বারা ক্ষুদ্র অন্ত্রে জীর্ণ তইয়া থাকে । এষ্ট রস ক্ষুদ্র অন্ত্রাশয় হইতে উৎপন্ন হয় । ইহা ইক্ষু চিনিকে ফল চিনিতে পরিবর্তিত করিয়া জীর্ণ করে । ভূক্ত দ্রব্য বিবিধ পাচক রস দ্বারা দ্রবীভূত হইয়া জীর্ণ হইলে, ইহা প্রথমতঃ পিত্ত্বকোষে প্রবেশ করিয়া পরিস্কৃত হয়, পরে হৃদপিণ্ডে উপস্থিত হয় । তথায় শুদ্ধ হইয়া ইহা সৰ্ব্বশেষে ফুসফুস যন্ত্রে উপনীত হয় । তথায় অক্সিজেন বায়ু সংস্পর্ষে ইহা রক্তে পরিণত হইয়া সৰ্ব্ব শরীরে ব্যাপ্ত হয় । যাহা অপরিপাচ্য থাকে তাহ বৃহৎ অস্ত্রাশয় হইতে মলদ্বার দ্বারা পরিত্যক্ত হয় । নিদ্রাকালে শরীরের যন্ত্রসমূহ নিস্তেজ হইয়া থাকে । সুতরাং নিদ্র হইতে উঠিয়াই আহার করা অসঙ্গত । তখন কিছু তরল পদার্থ গ্রহণ করা যাইতে পারে । ইহাদ্বারা কোষ্ঠ সরল থাকে । নিদ্রা হইতে উঠিয়! অঙ্গ সঞ্চালন বা ভ্রমণ করিলে যন্ত্র সমুহ পুন: সতেজ হয় । পরে বিশ্রাম করিয়া স্বানাহার বিধেয় । আহারের অৰ্দ্ধ ঘণ্টা পূৰ্ব্বে জলপান করিলে পাচক রস সমুহ স্ব স্ব ক্রিয় উত্তমরূপে সমাধা করে । অাহারের সময় সৰ্ব্বদা নিৰ্দ্ধারিত থাকা আবশুক । অসময়ে আচার করিলে পাক-ক্রিয়। সুচারুরূপে সম্পন্ন হয় না । আহার করিয়াই কঠিন কার্য্যে প্রবৃত্ত হওয়া অনুচিত, ইহাতে পরিপাকের ব্যাঘাত হয় । পুর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির পক্ষে আহার গ্রহণের পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে পুনঃ আহার করা অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু শিশুগণ ৩ ঘণ্টা অস্তর আহার করিতে পারে । পুর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির তিনবার আহারই যথেষ্ট । এক সময়ে অনেক প্রকার