বলিয়াছিলেন, এখনও সেইরূপ বলিলেন। আমি এক-একবার মনে করিতাম, তিনি বোধহয় হত্যাকারীকে জানেন এবং তাহাকে গোপন করিবার চেষ্টায় আছেন। কিন্তু তাঁহার কথা শুনিয়া আমার সে ভ্রম দূর হইল। ইহার কিছুক্ষণ পরে লালমোহন বাবু আসিয়া আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“যতীন্দ্রনাথ অমন সুন্দরী জমীদার-কন্যাকে বিবাহ করিতে অসম্মত কেন, জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন?”
আ। হাঁ—তাঁহার অস্বীকারের বিশেষ কারণ আছে।
লা। কি?
আ। যতীন্দ্রনাথ কলিকাতার কোন দরিদ্রের রূপসী কন্যার রূপে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে বিবাহ করিতে প্রতিশ্রুত হইয়াছেন।
লা। অমলাও ত বেশ সুন্দরী শুনিয়াছি?
আমি হাসিয়া বলিলাম, “সুন্দরী সকলেই। যে যাহার চক্ষে যেমনটী দেখায়। তোমার চক্ষে তোমার স্ত্রী যেমন সুন্দরী, তেমনটী কি আর কেহ হইতে পারিবে?”
লা। সে কথা যাউক, এখন আমাকে কি করিতে হইবে বলুন?
আ। ডাক্তারের পোষ্ট মরটমের রিপোর্ট পাইয়াছেন কি?
লা। পাইয়াছি।
আ। সেখানি কোথায়?
লা। আমার নিকটই আছে। এই বলিয়া কাগজখানি বাক্সের মধ্য হইতে বাহির করিয়া আমার হস্তে প্রদান করিলেন। উহা পড়িয়া আমি বুঝিতে পারিলাম, দামোদরের মাথার খুলির যে অংশ