ফাটিয়া গিয়াছে, তাহাতে বােধ হয়, কোন লােক পশ্চাৎ হইতে আসিয়া দামােদরকে আঘাত করিয়াছিল।
লালমােহন বাবু পরিশেষে আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “যদি বাস্তবিকই যতীন্দ্রনাথ কাহাকেও বিবাহ করিতে অঙ্গীকার করিয়া থাকেন, তবে তিনি সে কথা তাঁহার পিতাকে বলেন নাই কেন?”
আ। সে কথা তাঁহার পিতা জানিতে পারিলে তাঁহাকে বাটী হইতে দূর করিয়া দিতেন।
লা। এখন আপনি কি মনে করেন? যতীন্দ্র দোষী কি না?
আ। আমার বিশ্বাস—নির্দ্দোষী।
লা। তবে দামোদরকে কে হত্যা করিল? খুনী কে?
আ। সেইটীই ত বিষম সমস্যা।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।



পরদিন বেলা আটটার পর লালমোহনকে লইয়া জলার ধারে যাইতে মনস্থ করিলাম। থানা হইতে সেই জলা অধিক দূর নহে। আকাশ মেঘশূন্য, ঝড়বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা ছিল না, সুতরাং আমরা পদব্রজেই যাইতে লাগিলাম।
অতি সঙ্কীর্ণ পথ। পথের দুই ধারে বিস্তৃত মাঠ। কৃষকগণ কার্য্যে ব্যস্ত। কেহ লাঙ্গল দিতেছে, কেহ বা বৃক্ষ রোপণ করি-