পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৮৯৭.pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २8 যত দূর সম্ভব সেই প্রণালীমতে লইতে হইবে, বিভেদ এই বে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করিবার প্রয়োজন নাই। (৩) এই ধারার কার্য্যপক্ষে কোন ব্যক্তি যে পাক৷ বদমাস ইহা সাধারণ প্রসিদ্ধির সাক্ষ্যদ্বারা বা প্রকার।স্তরে এমাণ করা যাইতে পারিৱে । (৪) যে স্থলে দুই কি তদধিক ব্যক্তির তদন্তাধীন বিষয়ে সাহচৰ্য্য থাকে সেই স্থলে মাজিষ্ট্রেট যেরূপ বিহিত বোধ করেন তক্রপে তাহাদিগের সম্বন্ধে একই বা পৃথকং তদন্ত করা যাইতে পারবে । ১১৮ ধারা । (১) যদি তদ্রুপ তদন্ত লইয়া প্রমাণ হয় যে শান্তিভঙ্গ না হইবার কথা | সম্পর্কে তদন্তু লওয়া যায় তাহার জামিনসহ কি জামিন বিনা নিবন্ধপত্র লিখিয়। দেওয়া আবশ্যক, তবে মাজিষ্ট্রেট (২) প্রকরণের বিধান মান্য করিয়া তদ্রুপ আজ্ঞা করিবেন। কিন্তু প্রথমতঃ–১১২ ধারামত আদেশে যাহা নির্দিষ্ট থাকে, তদ্ভিন্ন প্রকারের কি তাহা অপেক্ষা অধিক টকার, কি তাহ অপেক্ষ অধিক কালের জামিন দিতে কোন ব্যক্তির প্রতি আজ্ঞা হইবে না । দ্বিতীয়তঃ - যে নিবন্ধপত্র লিখাইয়। লওয়া যায় । মোকদ্দমার অবস্থা বুঝিয়া সেই নিবন্ধপত্রের টাকার পরিমাণ ধাৰ্য্য করিতে হইবে । উই অত্যধিক হইবে मो । তৃতীয়তঃ—যে ব্যক্তির সম্বন্ধে তদন্ত লওয়া যায় সেই ব্যক্তি নাবালগ হইলে, কেবল তাহার জামিনের নিবন্ধপত্র লিখিয়া দিবেন। (২) (ক) মাজিষ্ট্রেট বিহিত বোধ করিলে উক্ত রূপ আজ্ঞা করিবার পরিবর্তে এ ব্যক্তিকে তিন বৎসরের অনধিক কালের জন্য পোলীসের তত্ত্বাবধানধীনে স্থাপিত করা যায় এরূপ আজ্ঞ করিতে পারবেন । (খ) উক্তরূপ আজ্ঞাক্ৰমে পোলীসের তত্ত্বাবধানাধীনে স্থাপিত কোন ব্যক্তি পোলীসের তত্ত্বাবধানের পরিবর্তে তাহার সদাচরণের জামিন লইবার আজ্ঞ। পাইবার নিমিত্ত যে কোন সময়ে কোন প্রধান প্রেসি ডেন্সী মাজিষ্ট্রেট বা জিলার মাজিষ্ট্রেটের নিকট দরখাস্ত । করিতে পরিবে । (গ) পোলীসের তত্ত্বাবধানের আজ্ঞা করা আবশ্যক , উক্ত যাজিষ্ট্রেটের এরূপ মত হইলে, তিনি ঐ দরখাস্ত অগ্রাহ্য করিতে পারবেন, কিন্তু অগ্রাহ্য করিবার হেতু তাহার লিপিবদ্ধ করিতে হুইবে । (ঘ) সাধারণ লোকদের কি অন্য কোন ব্যক্তির আপদ সম্ভাবনা ব্যতীত পোলীসের তত্ত্বাবধানের আজ্ঞার পরিবর্ভে জামিন লওয়া যাইতে পারে, উক্ত মাজিষ্ট্রেটের এরূপ মত হইলে, তিনি এই ধারার বিধান মতে জামিনের আজ্ঞা করিবেন।

  • নি বি আশা কিম্বা স্থল বিশেষে সদাচরণ !

রক্ষা হইবার জন্য যে ব্যক্তির ) t ১১৯ ধারা । ১১৭ ধারামত उमड नहेग्न যে ব্যক্তির সম্বন্ধে উক্ত তদন্তু লওয়া যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সেই ব্যক্তির শান্তিভঙ্গ ন৷ করিবার কিম্বা স্থলবিশেষে সদাচরণ রক্ষা হইবার জন্য নিবন্ধপত্র লিখিয়া দেওয়া আবশ্যক এরূপ প্রমাণ না হইলে ১ জিষ্ট্রেট নথীতে এই ছাড়িয, দিপ্লাব কথা । মর্মের কথা লিখিবেন, এবং কেবল ঐ তদন্সের নিমিত্ত লিপিবদ্ধ করিবেন । উক্ত ব্যক্তিকে ধরিয়া হাজতে রাখা গিয়া থাকিলে, তাহাকে ছাড়িয়া দিবেন অথবা ঐ ব্যক্তি তাজতে না থাকিলে তাহাকে অভিযোগ হইতে মুক্ত করিবেন। গ। — জামিন দিবার আজ্ঞার পর সৰ্ব্বত্র কাৰ্য্যামৃষ্ঠানের বিধি । ১২০ ধারা । (১) যে ব্যক্তি সম্পর্কে ১০৬ ধারণ কি ১১৮ ধারামতে জামিন দিবার আজ্ঞা করা যায় সেই ব্যক্তি ঐ আজ্ঞা করিবার সময়ে কারা দণ্ডের আজ্ঞা পাইলে কিম্বা কারাদণ্ডাধীন থাকিলে, উক্ত দণ্ডাজ্ঞার মিয়াদ ফুরাইলে উক্ত জামিন দিবার সময়ের আরম্ভ হইবে । (২) স্থলাম্ভরে এ আজ্ঞার তারিখেই উক্ত সময়ের আরম্ভ হইবে । যে সময়েব নিমিত্ত জামিন দিবাব আদেশ হয় তাহার অবস্তেব কথা । ১২১ ধারা । উক্ত ব্যক্তির যে নিবন্ধপত্র লিখিয়া দিতে হইবে তাহাতে শাম্বি ভঙ্গ না করিবার কিম্ব স্থল ভেদে সদাচরণ করিবার প্রতিজ্ঞ থাকিবে ; এবং শেষোক্ত স্থলে যে কোন স্থানে কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় যে কোন অপরাধ হউক ন৷ কেন করা গেলে কি করিবার উদ্যোগ হইলে কি সহায়তা হইলে, ঐ নিবন্ধ ভঙ্গ করা হয । নিবন্ধপত্রে যাহা যাহ। খffকবে তাহাৰ কথা । ১২২ ধারা । এই অধ্যায়মতে যে ব্যক্তিকে জামিন দিবার প্রস্তাব হয় সে অনুপযুক্ত এই হেতুতে মাজিষ্ট্রেট তাঙ্গকে গ্রাহ্য করিতে অস্বীকার অনুপযুক্ত বলিবার হেতু মজিষ্ট্রেট জ্ঞ মন অগ্রাহ্য কবিতে পা লবার কথা । করিতে পারবেন। ১২৩ ধারা । (১) কেন ব্যক্তি ১০৬ কি ১১৮ ধারা মতে জামিন দিতে আদিষ্ট হইয়া উক্ত জমিন দিবার .* সময়ারম্ভ হইবার তারিখে কি তৎপুৰ্ব্বে জামিন না দিলে পশ্চাল্লিখিত স্থল ভিন্ন তাহাকে কারাগারে পাঠান যাইবে, কিম্ব সে কারাগারে থাকিলে যাবৎ উক্ত সময় গত না হয় কিম্বা যে আদালত বা মাজিষ্ট্রেট জামিন দিবার আজ্ঞা করেন সেই আদ লতের বা মাজিষ্ট্রেটের নিকট কিম্বা এ আজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তি যে জেলে থাকে সেই জেলের অধ্যক্ষতা ভার প্রাপ্ত কর্মচারির নিকট ঐ সময়ের মধ্যে সে জামিন না দেয় তাবৎ তাহাকে কারাগারে রাখা যাইবে । জামিম ম) দিলে কাৰণদণ্ডের কথা ।