পাতা:গল্পকল্প - পরশুরাম.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গল্পকল্প

 হালদার মশায় চোখ কপালে তুলে বললেন, প্রত্যেক বারে দশ বিশ গণ্ডা বিবাহ করেছিলেন নাকি?

 —না না, বহ‍ুবিবাহে আমার ঘোর আপত্তি, যদিও আমার বড়-দা আর মেজ-দার অনেক পত্নী ছিলেন। আমি চিরকালই একনিষ্ঠ, এক-একটি পত্নী গত হ’লে আবার একটির পাণিগ্রহণ করেছি।

 একজন গ‍ুজরাটী যাত্রী সশব্দে হেসে বললেন, বুঝছেন না হালদার মোসা, ইনি আপনাকে বিয়া পাগলা বুঢ়া ঠহরেছেন, তাই আপনার পয়ের খিঁচছেন, যাকে বলে লেগ পুলিং।

 লংকুস্বামী তাঁর বৃহৎ জিহ্বা দংশন ক’রে বললেন, রাম রাম, আমি ঠাট্টা করছি না, সত্য কথাই বলছি।


গাড়ি বর্ধমানে পৌঁছল, অনেক যাত্রী নেমে গেল। লংকুম্বামী বললেন, এখন একটু জায়গা হয়েছে, আপনাদের যদি অসুবিধা না হয় তবে আমার স্ত্রীকে মহিলাকামরা থেকে নিয়ে আসি। সেখানে বড় ভিড়, তাঁর কষ্ট হচ্ছে। ঘণ্টা দুই পরেই আমরা আসানসোলে নেমে যাব।

 শরৎ বললে, কোনও অসুবিধা হবে না, আপনি তাঁকে নিয়ে আসুন।

 লংকুম্বামী তাঁর পত্নীকে নিয়ে এলেন। বয়স আন্দাজ পঁচিশ, সুশ্রী তন্দ্বী শ্যামা, কাছা দিয়ে শাড়ি পরা, মাথা খোলা, দুই কানে আর নাকের দুই পাশে হীরে ঝকমক করছে।

১৪০