শাস্ত্রে যার নাম উত্তরকুরু। এই চিঠিও গিরিবালা প্রেমপত্র ধ’রে নিয়ে জবাব দিয়েছেন—ড্যাম।
পরেশবাবু সোনার দাম ক্রমশ খুব কমিয়েছেন, এখন সাড়ে চার আনা ভরি। সমস্ত পৃথিবীতে খনিজ সোনা প্রতি বৎসরে আন্দাজ বিশ হাজার মন উৎপন্ন হয়, এখন পরেশবাবু একাই বৎসরে লাখ মন ছাড়ছেন। গোল্ড স্ট্যানডার্ড অধঃপাতে গেছে। সব দেশেই ভীষণ ইনফ্লেশন, নোট আর ধাতুমুদ্রা খোলাম কুচির সমান হয়েছে। মজুরি আর মাইনে বহু গুণ বাড়িয়েও লোকের দুর্দশা ঘুচছে না। জিনিসপত্র অগ্নিমমূল্য, চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে।
ভিন্ন ভিন্ন দলের দশ জন অনশনব্রতী মৃত্যুপণ ক’রে পরেশবাবুর ফটকের সামনে শুয়ে পড়েছেন। মাঝে মাঝে তিনি বেনামা চিঠি পাচ্ছেন— তুমি জগতের শত্রু, তোমাকে খুন করব। পরেশবারও ঐশ্বর্ষে অরুচি ধ’রে গেছে। গিরিবালা কান্নাকাটি আরম্ভ করেছেন, কেবলই বলছেন, যদি শান্তিতে থাকতে না পারি তবে ধনদৌলত নিয়ে কি হবে। সর্বনেশে পাথরটাকে বিদায় কর, সব সোনা গঙ্গায় ফেলে দিয়ে কাশীবাস করবে চল।
পরেশবাবু মনস্থির করে ফেললেন। সকালবেলা প্রিয়তোষকে সোনা তৈরির রহস্য জানিয়ে দিলেন।
৫৩