বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গল্পকল্প - পরশুরাম.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরশ পাথর

তাঁর মেয়েকে বললেন, ওরে দোলা, প্রিয়তোষ হিন্দ, হ’তে রাজী হয়েছে, তাকেই বিয়ে কর। দেরি নয়, ওর শ‍ুদ্ধিটা আজই হয়ে যাক, কাল বিয়ে হবে।

 হিন্দোলা আকাশ থেকে পড়ে বললে, কি তুমি বলছ বাবা! এই পরশু বললে গ‍ুঞ্জন ঘোষ, আবার আজ বলছ প্রিয়তোষ! এই দেখ, গ‍ুঞ্জন আমাকে কেমন হীরের আংটি দিয়েছে। বেচারা মনে করবে কি? তুমি তাকে কথা দিয়েছ, আমিও দিয়েছি, তার খেলাপ হ’তে পারে না। গ‍ুঞ্জনের কাছে কি প্রিয়তোষ? কিসে আর কিসে!

 জগাইবাবু বললেন, যা যাঃ, তুই তো সব বুঝিস। প্রিয়তোষ এখন হিরণ্যগর্ভ হয়েছে, তার পেটে সোনার খনি। যবে হ’ক একদিন বেরবেই, তখন সেই পরশ পাথর তোরই হাতে আসবে। পরেশবাবু সেটা আর নেবেন না, প্রিয়তোষকে যৌতুক দিয়েছেন। ফেরত দে ওই হীরের আংটী, অমন হাজারটা আংটি প্রিয়তোষ তোকে দিতে পারবে। এমন সুপাত্রের কাছে কোথায় লাগে তোর গ‍ুঁজে ঘোষ আর তার কনট্রাকটার বাপ? আর কথাটি নয়, প্রিয়তোষকেই বিয়ে কর্।

 অশ্রগদ‍্গদকণ্ঠে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে হিন্দোলা বললে, তাকেই তো ভাল বাসতুম। কিন্তু বড্ড যে বোকা!

 জগাইবাবু বললেন, আরে বোকা না হলে তোকে বিয়ে করতে চাইবে কেন? যার পেটে পরশ পাথর সে তো ইচ্ছে করলেই পৃথিবীর সেরা সুন্দরীকে বিয়ে করতে পারে।

৫৭