পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গপ্তেধন ○○○ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে তুমি।” কোনো উত্তর পাইলেন না। লোকটা অচেতন হইয়া গেছে। তখন চকমকি ঠকিয়া ঠাকিয়া সন্ন্যাসী অনেক কন্টে মশাল ধরাইলেন। ইতিমধ্যে সেই লোকটাও সংজ্ঞাপ্রাপ্ত হইল, আর উঠিবার চেষ্টা করিয়া বেদনায় আতনাদ করিয়া ऐठिठन । সন্ন্যাসী কহিলেন, “এ কাঁ, মৃত্যুঞ্জয় যে ! তোমার এ মতি হইল কেন।” মৃত্যুঞ্জয় কহিল, “বাবা, মাপ করো। ভগবান আমাকে শাসিত দিয়াছেন। তোমাকে পাথর ছড়িয়া মারিতে গিয়া সামলাইতে পারি নাই—পিছলে পাথরসখে আমি পড়িয়া গেছি। পাটা নিশ্চয় ভাঙিয়া গেছে।” সন্ন্যাসী কহিলেন, “আমাকে মারিয়া তোমার কী লাভ হইত।” মৃত্যুঞ্জয় কহিল, “লাভের কথা তুমি জিজ্ঞাসা করিতেছ! তুমি কিসের লোভে আমার পজাঘর হইতে লিখনখানি চুরি করিয়া এই সরগের মধ্যে ঘরিয়া বেড়াইতেছ। তুমি চোর, তুমি ভণ্ড ! আমার পিতামহকে ষে সন্ন্যাসী ঐ লিখনখানি দিয়াছিলেন তিনি বলিয়াছিলেন, আমাদেরই বংশের কেহ এই লিখনের সংকেত বকিতে পারিবে। এই গনপত ঐশ্বয আমাদেরই বংশের প্রাপ্য। তাই আমি এ কয়দিন না-খাইয়া নাঘমাইয়া ছায়ার মতো তোমার পশ্চাতে ফিরিয়াছি। আজ যখন তুমি বলিয়া উঠিলে পাইয়াছি তখন আমি আর থাকিতে পারিলাম না। আমি তোমার পশ্চাতে আসিয়া ঐ গতাঁটার ভিতরে লুকাইয়া বসিয়া ছিলাম। ওখান হইতে একটা পাথর খসাইয়া তোমাকে মারিতে গেলাম, কিন্তু শরীর দািবল, জায়গাটাও অত্যন্ত পিছল—তাই পড়িয়া গেছি—এখন তুমি আমাকে মারিয়া ফেলো সেও ভালো— আমি যক্ষ হইয়া এই ধন আগলাইব—কিন্তু তুমি ইহা লইতে পারবে না— কোনোমতেই না। যদি লইতে চেষ্টা কর, আমি ব্রাহরণ, তোমাকে অভিশাপ দিয়া এই কপের মধ্যে ঝাঁপ দিয়া পড়িয়া আত্মহত্যা করিব। এ ধন তোমার ব্ৰহনুরন্ত গোরস্ত -তুল্য হইবে—এ ধন তুমি কোনোদিন সুখে ভোগ করিতে পারবে না। আমাদের পিতা-পিতামহ এই ধনের উপরে সমস্ত মন রাখিয়া মরিয়াছেন– এই ধনের ধান করিতে করিতে আমরা দরিদ্র হইয়াছি—এই ধনের সন্ধানে আমি বাড়িতে অনাথা সন্ত্রী ও শিশসন্তান ফেলিয়া আহারনিদ্রা ছাড়িয়া লক্ষীছাড়া পাগলের মতো মাঠে ঘাটে ঘুরিয়া বেড়াইতেছি—এ ধন তুমি আমার চোখের সম্মুখে কখনো লইতে পারবে না।” o সন্ন্যাসী কহিলেন, “মৃত্যুঞ্জয়, তবে শোনো। সমস্ত কথা তোমাকে বলি –তুমি জান, তোমার পিতামহের এক কনিষ্ঠ সহোদর ছিল, তার নাম ছিল শংকর।” भट्राञ्जग्न कश्लि, “शाँ, उिनि निब्रटन्मथ श्झा वाहिब्र श्झा गिग्नाटश्न ।” সন্ন্যাসী কহিলেন, “আমি সেই শংকর।” মৃত্যুঞ্জয় হতাশ হইয়া দীঘর্ণনশ্বাস ফেলিল। এভক্ষণ এই গনপত ধনের উপর তাহার যে একমাত্র দাবি সে সাব্যস্ত করিয়া বসিয়াছিল, তাহারই বংশের আত্মীর ठामिझा ट्ज फ्राशि नष्प्ने कब्रिज्ञा फ्रांठा ।