পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

を &tf গল্পগুচ্ছ পড়িয়া কাঁদিতে লাগিল। অধরবাব ব্যাকুল হইয়া কী করবেন কিছুই ভাবিয়া পাইলেন जसा ॥ পরদিন বেলা সাড়ে দশটার সময় হরলাল একটা মেসের ঘরে তত্ত্বপোশের উপর উন্মনা হইয়া বসিয়া কলেজে যাইবে কি না ভাবিতেছে, এমনসময় হঠাৎ দেখিল, প্রথমে অধরবাবদের দরোয়ান ঘরে প্রবেশ করিল এবং তাহার পিছনে বেণ ঘরে ঢকিয়াই হরলালের গলা জড়াইয়া ধরিল। হরলালের গলার স্বর আটকাইয়া গেল ; কথা কহিতে গেলেই তাহার দই চোখ দিয়া জল ঝরিয়া পড়িবে, এই ভয়ে সে কোনো কথাই কহিতে পারিল না। বেণ কহিল, “মাস্টারমশায়, আমাদের বাড়ি চলো।" বেণ তাহাদের বন্ধ দরোয়ান চন্দ্রভানকে ধরিয়া পড়িয়াছিল, যেমন করিয়া হউক, মাস্টারমশায়ের বাড়িতে তাহাকে লইয়া ষাইতে হইবে। পাড়ার যে মটে হরলালের পেটরা বহিয়া আনিয়াছিল তাহার কাছ হইতে সন্ধান লইয়া আজ ইস্কুলে যাইবার গাড়িতে চন্দ্রভান বেণকে হরলালের মেসে আনিয়া উপসিথত করিয়াছে। কেন যে হরলালের পক্ষে বেণদের বাড়ি যাওয়া একেবারেই অসম্ভব, তাহা সে বলিতেও পারিল না অথচ তাহাদের বাড়িতেও যাইতে পারিল না। বেণ যে তাহার গলা জড়াইয়া ধরিয়া তাহাকে বলিয়ছিল ‘আমাদেব বাড়ি চলো", এই সপশ ও এই কথাটাব সমতি কত নিনে কত রাত্রে তাহার কন্ঠ চাপিয়া ধরিয়া যেন তাহার নিশ্বাস রোধ করিযাছে। কিন্তু ক্ৰমে এমনও দিন আসিল যখন দুই পক্ষেই সমস্ত চুকিয়া গেল, বক্ষের শিরা অাঁকড়াইযা ধবিয়া বেদনা-নিশাচর বাদাড়ের মতো আর ঝলিয়া রহিল না। হরলাল অনেক চেষ্টা করিয়াও পড়াতে আর তেমন করিয়া মনোযোগ করিতে পারিল না। সে কোনোমতেই স্থির হইয়া পড়িতে বসিতে পারিত না। খানিকটা পড়িবার চেষ্টা করিয়াই ধী করিয়া বই বন্ধ করিযা ফেলিত এবং অকারণে দ্রতপদে রাস্তায় ঘরিয়া আসিত। কলেজে লেকচারের নোটের মাঝে মাঝে খুব বড়ো বড়ো ফাঁক পড়িত এবং মাঝে মাঝে যে-সমস্ত অকিজোক পড়িত তাহার সঙ্গে প্রাচীন ঈজিপ্টের চিত্রলিপি ছাড়া আর কোনো বর্ণমালার সাদশ্য ছিল না। হরলাল বুঝিল, এ-সমস্ত ভালো লক্ষণ নয়। পরীক্ষয় সে যদি-বা পাস হয. বত্তি পাইবার কোনো সম্ভাবনা নাই। বত্তি না পাইলে কলিকাতায় তাহার একদিনও চলিবে না। ও দিকে দেশে মাকেও দু-চার টাকা পাঠানো চাই। নানা চিন্তা কবিয়া চাকরির চেষ্টায় বাহির হইল। চাকরি পাওয়া কঠিন, কিন্তু না-পাওয়া তাহার পক্ষে আরও কঠিন; এইজন্য আশা ছাড়িয়াও আশা ছাড়িতে পারিল না। হরলালের সৌভাগ্যক্রমে একটি বড়ো ইংরেজ সদাগরের আপিসে উমেদারি করিতে গিয়া হঠাৎ সে বড়ো সাহেবের নজরে পড়িল। সাহেবের বিশ্বাস ছিল, তিনি মখে দেখিয়া লোক চিনিতে পারেন। হরলালকে ডাকিয়া তাহার সঙ্গে দু-চার কথা কহিয়াই তিনি মনে-মনে বলিলেন, 'এ লোকটা চলিবে। জিজ্ঞাসা করিলেন, “কাজ জানা আছে ?" झब्रव्नाव्न कश्ळि, “ना।” “छाभिम मिट्ठ vाब्रिट्व ?” उाशग्न छेखटद्वe “ना ।” “८का"