পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છધન খেয়ে কোলকাতার অফিসের দুয়ারে স্থয়ারে ঘুরতে লাগলাম একটা চাকুরির আশায় । কিন্তু যেখানেই যাই, শুনি,-"নে ভেকিন্সি।” "তখন মানুষের ওপর জামীর আশ্রদ্ধা এলে গেল। ক্রমে ক্রমে আমি ঈশ্বররের উপরও বিশ্বাস হীরালাম। মাঝে মাঝে রমলার চিঠি পেজে লাগলাম—‘টাক নহ'লে আর চলে লা, পাড়ায় ধার করতে কাল্পও কাছে ৰ কী নেই, ভারত একখানা গধুলীও নেই যে, তাই বাধা দিয়ে বা বিক্ৰী কয়ে সংসার চালাবে। খোকাটা ক্রমাগত্তই অহুগে ভুগছে, একফোঁট ওষুধ তার পেটে পড়ছে না, ঠিকভাবে পথ্যও জুটছে না। তার নিজের শরীরও খুব খারাপ, हैऊानि । "প্রথম প্রথম পত্রের উষ্ণুর দিতাম, জ.শ। দিতাম, শীগগিরই টাকা পাঠাবো—কিন্তু টাকা কোথায় ? নিজের একবেলা খাবারও আরি জোটে না । শরীর ক্রমেই শীর্ণ ও দুৰ্ব্বল হয়ে পড়ছে। মনে হ’ত, চুরি করি, তীক্ষাভের জলে গিয়ে মিশি, ছুরি মেরে লোকের টাক৮ কড়ি কেড়ে মিই—কিন্তু সাহলে স্কুলেতি না , শরীরে সে সামর্থণ্ড ছিল না। "নানা রকম দুশ্চিন্তায় রাত্রে ঘুম হ’ত না । এক-একদিন তঞ্জার যেয়ে আশা-নিরাশার কত চিত্র আমার চোখের উপর ভেসে উঠতো। একদিন একটা দু:স্বপ্ন দেখে মল অতান্ত ব্যাকুল হয়ে উঠলো। মনে হতে লাগলে,—আমার স্ত্রী-পুত্ৰ হয় ত আর বেঁচে নেই। কোনোরকমে ভূতপূৰ্ব্ব বন্ধুর কাছ থেকে তিনটী টাকা ধার করে দেশের দিকে রওনা হলাম।” দূম লণ্ডয়ার জন্য পেশকারবাৰু একটুখানি থাধিলেন। পাবলিক প্রসিকিউটর একটা দীর্ঘ হাই তুলিলেন ও তুড়ি দিয়া ৰিকড়ি করিয়া বষ্টিত লাগিলেন—“বাবা, জবানবী ত নয়, Astik [নবম বর্ষ বেটা যেন মহাভারত রচনা করেছে । আর কতটা আছে মশায় ? একবার বাইরে থেকে না হয় খুরে অসি ” পেশক্ষারবাবু চশমাটকে কপালের উপর তুগিয়া বলিলেন—“আর বেশী নেই, দুই-এক মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।” —“ষ্টেশন থেকে গ্রামে যাওয়ার পথে দুইচারজন পারচিত লোকের সঙ্গে ক্ষেপ হ’ল । জম্বাৰু অধস্থ দেখেই তার বুঝলে যে, কাজকৰ্ম্ম কিছুই জোটে নি । তাদের মধ্যে একজনের কাছে বাড়ীর খবর জিজ্ঞাস করাতে সে একটুখানি দুঃখ স্থানিয়ে বললে,—"ী-পুত্র বেঁচে আছে বটে, কিন্তু উপায়ঙ্কর না দেখে আমার স্ত্রী ও পাড়ার বক্তদের বাড়ীতে রাধুনির কাজ নিয়েছে—নইলে ছেলেট যে না খেয়ে শুকিয়েই ፭፻፶፫ Com ኵ “লোকটা তার পথে চলে গেল । আমি BBB BBBL MBB BBBB BSS BBB মাথার মধো ৰিমঝিম্ করতে লাগলে । মনে জ্ঞাৰলাম, আমি এমনই অপদার্থ যে, লেখাপড়া শিখেও স্ত্রী-পুত্রকে খেতে দেওয়ার সাধ্য আমার নেই। আমি কোস্মুখে গ্রামে গিয়ে ঢুকবো ; লোঙ্কে এখনই ভ্ৰামায় শাস্ত ধিক্কার দেবে— ভাতে আমার স্বীর মর্শ্ববেদন শতগুণে বাড়বে ৰষ্ট কিছুই কমবে না । পেটের দাম্বে, ছ’মুঠো অল্পের জন্ধে, আমার সন্তানকে অনাহার মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবার জন্যে আমার প্রেমময়ী পত্নী পরের বাড়ী জtণীকৃত্তি করছে, আর আমি.তীব্র চেয়ে আজ যদি আমার মরণ হয়, তৰু পল্লীর লোক স্বামীর হতভাগিনী পত্নীকে অনাথা বিধবা বলে সহানুভূতি দেখাবে, পিতৃহীন শিশু গ্রামবাসীদের জয়স্থি হয় ত একদিন মাহুষ হয়ে উঠৰে । “ধরবার জাগে একবার শেষ চেষ্টা করতে