পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ, ১৬৪• ] হাসিয়া অনুপম বলে, হ্যা, আমিই বুড়ে হব, আর উনি কচি খুকিটাই থাকৃবেন। অল্পরিমা একটু গম্ভীর ও চিস্তার ভাব দেখাইয়া বলে, তাও ত বটে । তারপর তাহার মুখের উচ্ছ্বসিত হাসির ছটাকে যথাসম্ভব চাপিয়া অনুপমের মুখের কাছে মুখ লইয়া তাহাকে ডাকে, এই বুড়ো । অস্থপমও অমনি করিয়া উত্তর দেয়, কি বুড়ী ? থাৎ, বলিয়া অসুব্লিমা হাসিতে হালিতে অন্ধুপমের কোলের উপর শুইয়া পড়ে। তাহর পর তস্থার স্থই ঘৃণাল বাছ দিয়া অনুপমের গলাট। জড়াইয় তাহীর মুখের পনে চাহিয়া থাকে —শেষে গলটি নিজের দিকে একটু টানিয়াও আনে বোধ হয় । নীচু হইয়। অচপম ডাহার এই ছোট বুড়ীর মুগে আঁকিয়া দেয় তাহাজের ভালবাসার ছোট ਪੜ੍ਹੇ ਲਿੰਝ ’ তেমনি ভাবে থাকিস্থাই অমুfরম বলে, কে চায় বুড়ো-বুড়ী হ’তে এমনি থাকুক, ও গো, আমাদের চিরকাল এমনিই থাকুক ! বৰ্ত্তমানের উপাসক তাহারা, তীক্ষণঃ। থেলিতে চায় শুধু যৌবনের খেল, অতীতের স্বপ্ন তাহরী দেখিতে চায় না- বিষ্যৎ ত:হীদের কাছে শুধু অন্ধকার । এই ধেীৰন, এই মোহ, এই স্কুল এরও যে শেষ হইতে পারে, তাছাপ্পা তা’ ভাবিতে পারে না। ভাই বুড়ো-বুড়ী তাহাদের চক্ষে শুধু বুড়ে বুড়ী। কিন্তু তাহারা যদি নিমেষের জন্ত এই বুড়ে বুড়ীর অতীত জীবনটা একবার দেখিতে পাইত ! সেই জীবনের পরে সুদীর্ঘকাল ধরিয়৷ ষে ঘূবনিকা পড়িয়া রহিয়াছে, সে নবনিক এই তরুণ দম্পতী আজি তুলিতে পারে না । যদি পারিজ, তবে তাহারা আজ বুঝিত ধে ওই বুড়ো-পুড়ীর চিরদিনই শুধু বুড়ো-বুড়ীই ছিলনা। যৌবনের i_: খুঁড়োকুণ্ঠী tఠీ: ৰূপ-ৰস-গছে উহাদের জীবনও একদিন পরিপূর্ণ ছিল । তাহদের ধৌবনের সেই মত্ততা ইহাদের যৌবনের এই মত্ততায় চাহিতে একটুও ত কম ছিল না— পাড়াগায়ের বিয়ে বাড়ী । একটি ছেলে ঘুরিরা ফিরিয়া চারিদিক দেখিতেছে। সকলের মুখেই তাহর প্রশংস। কৰ্ত্তয়। প্রকৃবাকে স্বলিতেছেন, রমেশ লেন একাই এণশ" । আর জঙ্ক কেমদিকে কোন ক্রটাই হচ্ছে মা ; নইলে ফট-বিচ্যুতির খখধি থাকৃত না। আর সব ও কেবল ফন্ধিবাজ । কথাটা মিথ্যা নয় ; রুমেশ একাই চারিদিক নজর রাখিয়াছে। বিয়ের আসর গাঙ্গীন হইতে পয়িবেশন পৰ্য্যস্ত সব স্থানেই লে আছে । কল্পায় বিবাহে গৃহস্থের ঋষ্টি ত কৰ্ম্ম লছে। একদলের পরিবেশন শেষ হইয় গেল। লুচির বnকাটা নামাইয়া রমেশ ভাড়ার-ঘরের সম্মুণে আসিয়া স্থাকিল, বৌদি, জামায় ছুটে পাম । রমেশ এ ধঞ্জিীর ছেলে নয় । গু পাঞ্চ রায়েদের ছেলে। এই বৌদিটিও রমেশের সম্মুখে শ্লেষন করিয়া বাহির হয় না । তাছাঁর উপর ভাড়ারের কাজে তখন লে ৰাঞ্চ । তাই কমলাকে বলিল, ধাত ভাই, রমেশ ঠাকুরপোকে দু’টো পাম দিয়ে আর । দিড়ির পণেই ড্রাড়ীয়-স্বল্প। লিড়ির উপরে রমেশ ধাড়াইদাছিল। পান লইয়া কমলা লেখানে স্বাসিল এবং রমেশের দিকে একবার চাহিয়া ধীরে ধীরে বলিল, নিল । কমলাকে দেখ্রিন্থ রমেশের মাথায় একটা খেয়াল আসিল । একটু হাসিয়া তাহার হাত ছটাে খোইবা বলিল, এ দুই-ই এটাে,