পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মঞ্জুশ্ৰী পরিচয় করিয়ে দেয়—”ইনি অপূর্ণ, একসঙ্গে পড়েচি থ অঞ্জনা যুক্তকরে ক্ষুদ্ৰ নমস্কার জানায় ৷ অপূর্ণ আiচ্ছয়ের মৃত প্রতি নমস্কার করে কি বলে’ বিদায় নেওয়া যায়, মনে মনে তারি মতলব স্বাটে। তার সারা দেহুে চাঞ্চল্য ফুটে ওঠে । মঞ্জুই বলে--"মিছে এগানে ছড়িয়ে ৰাকা বায়ে ফল নেই। চল, ভেতরে গিয়ে সব কথাবাৰ্ত্ত হবে ।" অপূৰ্ণ মনে মনে প্রমাদ গণে । মুছ আপত্তি জানিয়ে বলে--"ম না, তোমরাই যাও ভাই-- খামায় যাবস্ত্র উপায় নেই, বড় দরকায় ।” মঞ্জুশ্ৰী চেপে ধরে। বলে—“দরকার ত রোজই আছে। যণ্টাকয়েকের বে-সরকারে বিশেষ কিছু ক্ষঙিবুদ্ধি হবে না। একটা দিন বই ও নয় । এলো এলো—” অঞ্জন মিষ্ট সুরে বলে—“বেণ্ড ত আজুন aሽ !” ওদিক দিরে আর অন্বযোগ করা চলে না । অপূর্ণ অগ্রপথ ধরে’ বলে-“কিন্তু, স্বাড়ীর কেউ জানবে না --ফিরতে যুক্তির হ'গে সবাই ভাববে—জার তা ছাড়া আমার কাছে স্ত 9ـصـFrgہ:صلى الله عليه وسلم লজীয় যেন মাখ কাটা যায় । মঙ্গুলী ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বলে—“আরে, শুরু জন্মে ভেবো না । সে হয়ে যাবে খৰু। আর রাত্তির হ’লে ভাববার মত ভাবতে কেই বা আছে তোমার এমন ? সে বরং এই আমার ! পাছে ভাবতে হয়, তাই দেখ না, পেছন পৰ্য্যন্ত ধাওয়া করে এলেচেন একলাটি কি এক প। বাড়াবার উপায় স্থাছে ? অর্থনা ভুকুটি ৰূরে’ বলে--"না, তা কি জার আছে ? এলেই পারতে ত একলা—কে ৰাৱণ [নবম বর্ষ করতে গিয়েছিল ? ভাবতে ত আমার আর ঘুম ধরছিল না ?” মঞ্জই সশব্যস্ত হ’মে বলে—“আরে, চুপ চুপ ? রাস্তার বাঝখানে এ সব কী কাণ্ডকারখানা ? ভাল কথা বলতে গিয়ে এ যে দেখি হিঙে-বিপরীত হ’মে পড়ালো। নাও, এখন কথা কাটকটি তর্ক-বিতর্ক সব মুলতুবী স্বাকৃ চল ।” অপূর্ণর হাত ধরে সে একরকম টেনেই নিয়ে স্বাক্স । তৃতীয়-শ্রেণীর টিকিট একখানিও বাকী ছিল না। দ্বিতীয়ু-শ্রেণীর টিকিট কাটতে छ् । অপূর্ণ ভাবে—এই মুহূর্তে বহন্ধরা যদি দ্বিধা বিভক্ত হয়, তবে শে তার মধ্যে প্রবেশ করে" মুক্তির নিশ্বাস ফেলে ব্যচে ! অপুর্ণ আর মঞ্জীর মাঝখানের আসনে অঞ্চনা । তার গন্ধ-ক্টাচল বিজুলীপাখার হাওয়ায় স্থলে ছন্ত্রে যতবার গারে এসে পড়ে—ততবারই অপুর্ণ কেমন অস্বস্তি আছুক্তৰ করে। তার বেশবিলাস, আদব-কায়দা—কেশনটাই পারিপাশ্বিক আবেষ্টনের লক্ষে সামঞ্জস্য রেখে চলতে পারে না। ধশ্বপিক্ষ মলিন জামাটার ছৰ্গন্ধ বাতালের কণ্ঠ চেপে ধরে । তাঁর নিজেরও ক্ষম বন্ধ হ’য়ে আলে। ছবিগুলোর চলা-বলা লবি তার কাছে অস্পষ্ট ছুৰ্ব্বোধ্য হেঁয়ালী বলে’ মনে হয় । ওরা যেন বারবার জনতা ভেদ করে তার দিকে অর্থশূৰ্ণ দৃষ্টি হেনে চলে যায়। দেবতার মন্দিরে অস্পৃগু হয়ে সেই যেন কেবল এক অনধিকারপ্রবেশ করে বশে আছে। শ্বে ‘চণ্ডীদাস’ ও ‘রামী'র প্রেমে গাঁথি। পদাবলীর প্রতি ছত্ৰে ফুটি মিষ্পাপ হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি তার কাছে সহানুভূতি কামনা ৰূরে’ ফিরতে, এদের মধ্যে অপূর্ণ তাদের সন্ধান খুজে পায় না। এম্বা যেন আধুনিক সভ্যতার ছাচে