পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆపిe বিপুল অর্থের জড়িম্বর। মেয়েটার জীবনে কোন ভাবনা-চিন্তু ছিল না । লেখাপড়ার আসক্তি তার ছিল অনির্বান ; সেই আসক্তির বশীভূত হ’য়ে সে ক্রমে একদিন বাঙলাদেশের লেখিকাদের পর্য্যায়ভুক্ত হল। কয়েক মুহূৰ্ত্ত নীরব থেকে তিনি পুনরায় স্বরু করলেন = মেয়েটির মাথায় ছিল নতুন ভাবের বন্য। সমাজ এবং সংস্কারের বিরুদ্ধে একটি ছোট দল নিয়ে সে যুদ্ধঘোষণা করলে। কিছু পুরাতুন, বা কিছু যুক্তিজীম, তার বিরুদ্ধে চল্প তার তুর্শিবার সংগ্রাম। সামাজিক বিধিনিয়মের শৃঙ্খলা এমন কি ঈশ্বরের অস্তিত্ব পর্য্যন্ত তার কলমের যুখে বিলীন হ’ল । তারপর সে স্কুখে দাড়ালো-- প্রচলিত বিস্বাহের বিরুদ্ধে । যে বিবাহ এতদিন চলে এসেছে, তাকে সে স্বীকার করলে না । বিবাহের প্রয়োজনীয়তাকে স্বাস মনোবৃত্তির পরিচায়করূপে গণ্য কয়ে তার বিরুদ্ধে সহক্স ধারায় তার লেখনীকে চালিত করলে । তার সাহুল ছিল তুঙ্গয় । জন্ম-বিশ্বাস ছিল অফুরন্ত ! আবার ক্ষণকালের জন্সে ভিনি নীরব হলেন। কক্ষ নেত্রে আমি তার মুখের পানে তাকিয়ে রইলাম । ভারপর আবার তিনি শরিষ্ঠ করলেন : কিছুদিন পরে মেয়েটির জীবনে একটি পুরুষের আবির্ভাব হ'ল। সে ছিল বয়সে তরু, বুদ্ধিতে উজ্জ্বল এবং নব নব চিস্তার প্রেরণায় অহঙ্কণ দীপ্তিমান। দু’জনে সন্মিলীত হ’ল । মেয়েটির না ছিল কোন অভিভাবক, না ছিল কোন বধি৷ ছেলেটি তাকে বিবাহ করতে চাইলে। মেয়েটি ক্ষণকালের জন্যে দ্বিধাখিত হ’ল—পুরাণে সংস্কার গুলোকে একেবারে মন থেকে তাড়িয়ে দেওয়া পায় না । কিন্তু এ দুর্বলতা তাকে জয় করতেই হবে ; তা’ না হ’লে কেমন করে সে ছবিষ্যত্ত নবম বর্ষ নারী সমাজের কাছে উার ভাবধারার আদর্শকে শংস্থাপিত করবে । তার ভুক্তের দল তার মুখের পানে অশান্বিত অস্তরে চেয়ে আছে। সে ছেলেটির বিবাহ প্রস্তাবকে হেসে উড়িয়ে দিলে - বিবাহু একটা আজন্মঞ্জিড় কুসংস্কার, তাকে সে স্বীকার করে না । ছেলেটি অনেক বোঝাতে চাইলে, কিন্তু কোন ফল হ’ল না । মেয়েটিই শেষ পৰ্য্যস্ত জয়ী হ’ল । মুহূৰ্ত্তকালের জঙ্গ মনীষা দেবী আত্মবিশ্বত হ’য়ে অঞ্চস্বলক্ষ হ’য়ে পড়লেন । তার পরক্ষণেই আবার বঙ্গতে লাগলেন : তাদের দু’জনকার জীবনের পরবন্ধী ইতিহাস খুব স্বর্থের নয়। জল্পদিনের মধ্যেই বোঝা গেল, ছুঞ্জনের চরিত্রে বহুবিধ বড় বড় জমিলের পাহাড় মাগা উচু করে দ্বাড়িয়েছে—সে ৰাধ অতিক্রস করা সহজ সাধা নয়। ছেলেটি ঞ্জির স্বপ্নদর্শী, ধৰ্ম্মপ্ৰাণ । মেয়েটির কাছে ধন্ম ছিল বিদ্রুপের বস্তু । ছেপ্লেট সহসা ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মে দীক্ষা নিরে মহা উৎসাহে ধৰ্ম্মগ্রচারের কাজে আত্মনিয়োগ কম্বুলে। এ-ব্যবস্থা মেয়েটির পক্ষে জ্বসহ হ’ল। সে তাকে পঞ্জিত্যাগ করলে । মনীষা দেবীর কাহিনী শুনে আমার সকল অস্বভূতি বেশ অসাড় নিম্পদ হয়ে গেল । দু'চোখের দৃষ্টি জামার যেন ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে তার কোলের ওপর মাথ৷ রাখলাম। তিনি সরস স্নেহে আমার চুলগুলি নাড়াচাড় করতে লাগলেন । ক্ষণকাল পরে নিম্নকণ্ঠে প্রশ্ন করলাম— আপনি. আপনিই সেই মেয়ে...? ক্লিষ্টস্বরে তিনি বল্পেন-হ্যা, আমিই সেই মেৰে ; সে ছেলেটি হচ্ছেন, তোমার বাবা ; অামি । তড়িৎ-পৃষ্টের মতো বলে উঠলাম —কি আমি ? দু'হাতে আমার হাত চেপে ধ’রে তিনি স্বজেন-এবং তুমিই হ’লে আমাদের-সেই অশুভ মিলনের দ্বার্তাগা সন্ধান । চলবে,