পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》9 १ांझ९ष्ठ “আর রোজই বকুনি খাও ?” “তাহলে সে বকুনি ত আর গায়ে লােগবার কথা নয়। এত দিনেও মনে ঘাঁটা পড়ে যায় নি ?” সীতেশ -এখন ইয়ারকি রােখ, আমি চালুম-Good night ! এই কথা বলে”। তিনি ঘর থেকে বেরতে যাচ্ছেন, এমন সময় Boy এসে খবর দিলে যে, “কোচমান-লোগ আবি গাড়ী যোণ্ডনে নেই মাঙ্গত । ও লোেগ সমজুতা দে দশ মিন'ট্ৰমে জোর পানি আয়েগী, সায়েৎ হাওয়া ভি জোর করেগা। ঘোড়ালোগ খাড়া খাড়া এইসঁই ডরতা হ্যায়। রাস্তামে নিকালনেসে জরুর ভড়কেগা, সায়েৎ উখড় যায়েগা। কোই আধা ঘণ্টা দেখকে তাৰ সোয়ারি দেন। ঠিক হ্যায়।” এ কথা শুনে আমরা একটু উতলা হয়ে উঠলুম, কেননা এক সীতে।শের নয়, আমাদের সকলেরই বাড়ী যাবার তাড়া ছিল। ঝড়বৃষ্টি আসবার আশু সম্ভাবনা আছে কিনা, তাই দেখবার জন্য আমরা চারজনেই বারান্দায় গেলুম। গিয়ে আকাশের যে চেহারা দেখলুম, তাতে আমার বুক চেপে ধরলে, গায়ে কঁটা দিলে। এ দেশের মেঘলা দিনের এবং মেঘলা রাত্তিরের চেহারা আমরা সবাই চিনি ; কিন্তু এ যেন আর এক পৃথিবীর আর এক আকাশ ;-দিনের কি রাত্তিরের বলা শক্ত। মাথার উপরে কিম্বা চোখের সুমুখে কোথাও ঘনঘটা করে নেই, আশে-পাশে কোথায়ও মেঘের চাপ নেই ; মনে হল যেন কে সমস্ত আকাশটিকে একখানি একরঙা মেঘের ঘেরাটোপ পরিয়ে দিয়েছে, এবং সে রং কালোও নয়, ঘনও নয় ; কেননা তার ভিতর থেকে আলো দেখা যাচ্ছে। ছাই-রঙের কঁাচের ঢাকনির ভিতর থেকে আলো দেখা যায়, সেইরকম আলো । আকাশ-জোড়া এমন মলিন, এমন মরা আলো আমি জীবনে কখনও দেখিনি। পৃথিবীর উপরে সে রাত্তিরে যেন শনির দৃষ্টি পড়েছিল। এ আলোর স্পর্শে পৃথিবী যেন অভিভূত, স্তম্ভিত, মূচ্ছিত হয়ে পড়েছিল। চারপাশে তাকিয়ে দেখি,-গাছ-পালা, বাড়ী ঘর-দোর, সব যেন কোনও আসন্ন প্রলয়ের আশঙ্কায় মরার মত দাড়িয়ে আছে ; অথচ এই আলোয়