अट्टे RR8 পরিচিত। এর কারণ, যদিচ তিনি উকিল, ব্যারিস্টার নন, তাহলেও তিনি ইংরেজি পোষাক পরেন—তাও আবার সাহেবের দোকানে তৈরী। চটুয্যে-সাহেব বিশ্ববিদ্যালয়ের আগাগােড়া পরীক্ষা একটানা ফাস্ট ডিভিসনেই পাশ করে এসেছেন, কিন্তু আদালতের পরীক্ষা তিনি থার্ড ডিভিসনেও পাশ করতে পারলেন না । এর কারণ, তার Iriteratureএ taste ছিল, অন্তত এই কথা ত তিনি তঁর স্ত্রীকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী এ কথাটা মোটেই বুঝতে পারলেন না যে, পক্ষিরাজকে ছক্কড়ে জুতলে কেন না। সে তা টানতে পারবে। তবে তিনি অতিশয় বুদ্ধিমতী ছিলেন বলে স্বামীর কথার কোন প্রতিবাদ করেননি, নিজের কপালের দোষ দিয়েই বসেছিলেন। যখন সাত বৎসর বিনে রোজগারে কেটে গেল, আর সেই সঙ্গে বয়েসও ত্ৰিশ পেরুলে, তখন তিনি হাইকোর্টের জজ হবার আশা ত্যাগ করে মাসিক তিনশ টাকা বেতনে পালবাবুদের জমিদারী সম্পত্তির ম্যানেজারের পদ আঁকড়ে ধরতে বাধ্য হলেন। এও দেশী অদৃষ্টর একটা ছোটখাট উদাহরণ। বাঙ্গালী উকিল না হয়ে সাহেব কেঁৗসুলি হলে তিনি যে Bar-এ ফেল করে Bench-এ প্রমোশন পেতেন, সে কথা ত আপনার সবাই জানেন। যার এক পয়সার প্র্যাকটিস নেই, সে যে একদম তিনশ টাকা মাইনের কাজ পায়, এ দেশের পক্ষে এই ত একটা মচা-সৌভাগ্যের কথা। তাঁর কপাল ফিরল কি করে জানুন্ন ?--সেরেফ মুরুব্বির জোরে। তিনি ছিলেন একাধারে বনেদী ঘরের ছেলে আর বড়মানুষের জামাই—অর্থাৎ তার যেমন সম্পত্তি ছিল না, তেমনি ছিল সহায়। ( 8 ) বলা বাহুল্য, জমিদারী সম্বন্ধে চাটুয্যে-সাহেবের জ্ঞান আইনের চাইতেও কম ছিল। তিনি প্রথম শ্রেণীতে বি. এল. পাশ করেন, সুতরাং এ কথা আমরা মানতে বাধ্য যে, আইনের অন্তত পুথিগত বিদ্যে তীর পেটে নিশ্চয়ই ছিল; কিন্তু কি হাতে-কলমে কি কাগজে-কলমে তিনি জমিদারী বিষয়ে কোনরূপ জ্ঞান কখন অর্জন করেননি। তাই RS
