পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদরিণী ఫి\లి ক্টোচার শটে চক্ষু মুছিয়া বৃদ্ধ বলিলেন—“কি করে তোমরা এমন কথা বলছ ?” বন্ধুরা বুঝাইলেন—“আপনি বলেন, ও আমার মেয়ের মত । তা, মেয়েকেই কি চিরদিন ঘরে রাখা যায় ? মেয়ের বিয়ে দিতে হয়, মেয়ে শ্বশুরবাড়ী চলে যায়, তার আর উপায় কি ? তবে পোষা জানোয়ার, অনেক দিন ঘরে রয়েছে, মায়া হয়ে গেছে, একটু দেখে শুনে কোনও ভাল লোকের হাতে বিক্রী করলেই হল । যে বেশ আদর যত্নে রাখবে—কোনও কষ্ট দেবে না—এমন লোককে বিক্রী করবেন ।” ভাবিয়া চিন্তিয় জয়রাম বলিলেন—“তোমরা সবাই যখন বলছ তখন তাই হোক। দাও, মেলায় পাঠিয়ে দাও । এক জন ভাল থদের ঠিক কর—তাতে দামে যদি হ-পাঁচশো টাকা কমও হয়, সেও স্বীকার।" মেলাটি চৈত্র-সংক্রান্তির প্রায় পনেরো দিন পূৰ্ব্বে আরম্ভ হয় । তবে শেষের চারি পাচ দিনই বেশী জমজমাট। সংক্রাস্তির এক সপ্তাহ পুৰ্ব্বে যাত্রা স্থির হইয়াছে । মাহুত ত যাইবেই—মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের মধ্যম পুত্রটিও সঙ্গে যাইবে । যাত্রার দিন অতি প্রত্যুষে মুখোপাধ্যায় গাত্ৰোখান করিলেন । যাইবার পূৰ্ব্বে হস্তী ভোজন করিতেছে । বাটীর মেয়েরা, বালকবালিকাগণ সজলনেত্রে বাগানে হস্তীর কাছে দাড়াইয়া । খড়ম পায়ে দিয়া মুখোপাধ্যায় মহাশয়ও সেখানে গিয়া দাড়াইলেন । পূৰ্ব্বদিন দুই টাকার রসগোল্লা আনাইয়া রাখিয়াছিলেন, ভূত্য সেই হাড়ি হাতে করিয়া আসিয়া দাড়াইল । ডালপালা প্রভৃতি মামুলী খাদ্য শেষ হইলে, মুখোপাধ্যায় মহাশয় স্বহস্তে মুঠ মুঠ করিয়া সেই রসগোল্লা হস্তিনীকে খাওয়াইলেন। শেষে, তাহার গলার নিয়ে হাত বুলাইতে বুলাইতে ভগ্নকণ্ঠে বলিলেনু—“জার, যাও সু, বামুনহাটের মেলা দেখে এস।”—প্ৰাণ ধরিয়া বিদায়বাণী উচ্চারণ "లి