পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ- গল্পাঞ্জলি তৃতীয় পরিচ্ছেদ একঘণ্টা পরে, অতুল বাবুর একজন ভ্রাতুপুত্র-সন্তোষচন্দ্র বাবু আসিয়; দশন দিলেন । ইনি একজন নব্য ব্রাহ্ম-নাতি ও ধৰ্ম্মাচরণ সম্বন্ধে কাহার ও তিলমা এ শিথিলতা দেখিলে ক্ষপ্ত হইল্প উঠেন এবং বিশেষ কারম্ন। বিলাত-ফেরত যুবকগণের উপর একেবারে খড়্গহস্ত । সন্তোষ বাবু আসিয়াই খুল্লতাতপত্নীর শোচনীয় অবস্থা লক্ষ্য করিলেন । জিজ্ঞাস করিলেন—“সুপ্রভা কোথা ?” “শুয়ে আছে ।” “এখন শুয়ে ? কেন, কোন অমুখ করেছে নাকি ?” "ו וה" “তবে ব্যাপার কি কাকীমা ? তোমার চেহারাই বা এ রকম হয়ে গেল কেন ? কেদেছ ? তোমার চোখ লাল স্তরে উঠেছে, ফুলেছে।—fক ক্তয়েছে বল ত ।” து বিশেষ অনিচ্ছাসত্ত্বেও গৃহিণী তাহাকে সকল কথা খুলিয়া বলিলেন । পত্র পড়িয়া, চেয়ারের পিঠে হেলান দিয়া, দুই চক্ষু উদ্ধে তুলিয়া সন্তোষ বাবু বলিতে লাগিলেন “আমি ত গোড়া থেকেই জানি, একটা ব্যাঘাত হবেই হবে । তোমরা যে বিলাতফেরত বলে একেবারে অজ্ঞান হলে । বিলাত ফেরতের কি সহজ লোক ? এমন অপকৰ্ম্ম, নেই যা তার বিলাতে গিয়ে করে না । আর, এখানে ফিরে এসেই বা কি ? এক একটি মদের পিপে বলেই হয় । শাস্ত্রী মশায় ডক্টর স্তাণ্ডের যে চিত্র একেছেন তা পড়েও ত লোকের চৈতন্ত হল না ? অার ব্রাহ্মসমাজের মেয়েদের যে কি রোগ হয়েছে—বিলাতফেরত নইলে তাদের পছন্দই হয় না ।