পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*$8 গলপ-ফ্লপক্ষাবলী BBD DDDS DDDD BBB DD DBBB BBBD DD DDDD DDDD DDDS “আমার কথার জবাব দিয়ে যাও।” o ডোরা রামকৃষ্ণের দিকে ফিরিয়া বলিল, “দেখছ রামদা, আমি ক্ষিধের মরছি, আমার যেতে দিচ্ছেন না।” নিরঞ্জন ডোরার হাত ছাড়িয়া দিল। ডোরা হাসিতে হাসিতে বাহির হইয়া গেল। ডোরা আসনের উপর বসিয়া খাইতে আরম্ভ করিল। আদরে রামকৃষ্ণ বসিয়া তাহার সহিত কথাবাত্ত কহিতে লাগিল। এ কথা, সে কথার পর বলিল, “দিদিমণি, দাদাবাব; ত আরাম হয়ে উঠলেন, এইবার তুমি—” • , বন্ধের কথা আটকাইয়া গেল। ডোরা মুখ তুলিয়া বলিল, “এইবার আমি—কি রামদা ? আমায় বিদায় করতে চাচ্ছ ?” রাম বলিল, “না না—বিদায় কেন ? বিদায় কেন ? সে কথা কি আমি মুখে আনতে পারি, দিদি ৷ তবে বলছিলাম কিনা, তোমার ত কাজ-কম"-এ ভাবে বসে ફ્રેન "حسستة ماتية tf ডোরা পাতে খানিকটা মাছের ঝোল ঢালিয়া বলিল, “কেন, তুমি ত আমায় রোজ দশটি করে টাকা ফী যুগিয়ে যাচ্ছ। ভাবছ বোধ হয়, এখন আর আমার মনিবের টাকাগলো মিছে কেন লোকসান হয় ? তোমার মানবের ত গাদা গাদা টাকা রামদা— পাঁচশো গাধায় বইতে পারে না । আমি না হয় রোজ দশটা ক'রে টাকা নিলামই বা!” রামকৃষ্ণ বলিল, “না না, সে কথা কি বলছি দিদিমণি ? তা নয়। তবে কিনা—” ডোরা কৃত্রিম কোপ সহকারে বলিল, “যাও যাও রামদা, বড়ো হয়ে তোমার ভীমরতি ধরেছে—আমি কোথাও যাব না, আমি এইখানে থাকব। আমি খাটান বলে যদি তোমাদের আপত্তি থাকে—ঐ কি সব বলে আজকাল, শান্ধি-টধি করিয়ে আমায় হিন্দ করে নাও না! দুদিন না হয়, খ, টানই হয়েছি—হাজার হোক হিন্দরে মেয়ে ত বাঁট!” রামকৃষ্ণের মখে বিষাদের ছায়া পড়িল। সে নতনেত্রে বসিয়া রহিল। অবশেষে বলিল, “আমার কথা তুমি বুঝতে পারছ না দিদিমণি ৷” ডোরা বলিল, “আমি খুব বুঝেছি। যাও, তুমি এখন খেতে বসগে—১১টা বেজে গেছে। আমি তোমার দাদাবাবরে জাত মেরে দেবো না, কিছু ভয় নেই। হ্যাঁ জাত ত ভারি আছে কিনা ! আমি এ বাড়ীতে আসা অবধি কতগুলো মৃগী তোমাদের ঐ উঠানে, জবাই হয়েছে, বল দেখি ! তোমাকে এক দিন রামপাখীর ঝোল খাইয়ে দিচ্ছি, দাঁড়াও !" “রাম রাম, ছি. ছি"--বলিতে বলিতে রামকুষ্ণ উঠিয়া চলিয়া গেল। নিরঞ্জনের নিবন্ধাতিশষ্যে, ডোরা আর চারিদিন এ বাড়ীতে রহিল, প্রত্যহ বিকালে নিরঞ্জনকে হাওয়া খাওয়াইয়াও আনিল। তবে, রোজ একবার করিয়া “নাসেস হোম"-এ घब्रिज्ञा आनिष्ठ । পাঁচ -. আজ বিকালে চা-পান করিয়া ডোরা বিদায় লইবে । সে যাইবার সময় নিরঞ্জন বলিল, “ডোরা, তুমি আমার জীবন দান করেছ। তোমার সেবা-শুশ্রুষাতেই আমি বেচে উঠেছি। নইলে বোধ হয়, এ যাত্রা মহাযাত্রাই করতে হ’ত ।” ডোরা নিরঞ্জনের গায়ে একটা থাবড়া মারিয়া বলিল, “হ্যাং-কি বল তুমি, যাও! ভাল লাগে না ও সব কথা ।” 婚 __ নিরঞ্জন বলিল, “আমি কিছমাত্র বাড়িয়ে বলিনি, সত্যি কথাই বলছি আমি, ডোরা।