পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ネ&8 ši গল্প-গ্রন্থাবলী క్గా মা বেচে আছেন বলেছিলে না ?” “of In হরিশপ্তকরবাব আবার মৌনভাব ধারণ করিলেন। স্কুমার মনে মনে ভাবিতে লাগিল, তাঁহার এ সব প্রশ্নের অর্থ কি ? শেষে হরিশপ্তকরবাবু বলিলেন, “দেখ, তুমি তোমার সাংসারিক অবস্থার কথা যা বললে, সেটা আমার পক্ষে কোনও বাধা নয়। মেয়ের বিয়ের সময় জামাইকে আমি যে যৌতুক দেবো, তাতে অনেক বছর তাদের জীবন সখে-স্বচ্ছন্দে কেটে যেতে পারবে। আমার ঐ একমাত্র মেয়ে। আমার অবত্তমানে সমস্তই আমার মেয়ে-জামাইয়ের হবে । তবে আর একটা বাধা আছে—সে বিষয়ে আজ রাতটা আমায় বিবেচনা করতে সময় দাও —আমি কাল সকালে তোমার কথার উত্তর দেবো।” পরদিন বেলা আটটার সময় সকুমার যখন হরিশঙ্করবাবর শয়নকক্ষ হইতে বাহির হইল, তখন তাহার মুখখানি উল্লসিত। নীচে নামিবার সিড়ির কাছে সশোভনা দাঁড়াইয়া ছিল, কোন ভূত্যাদি তখন সেখানে নাই। সুশোভনা অগ্রসর হইয়া আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বাবা কি বললেন ?” সকুমার সশোভনাকে বক্ষে জড়াইয়া তাহার মাখ-চন্বন করিয়া বলিল, “আসছি, এসে বলবো।”—বলিয়া সে ক্ষিপ্রপদে নিম্নে অবতরণ করিল। সুশোভনাও হাসি-মুখে নিজ কাষে গেল । সকুমার রোগীর কক্ষে গিয়া দেখিল, অমরেন্দ্র একা। জিজ্ঞাসা করিল, “এরা কোথায় ?” অমরেন্দ্র বলিল, “সনানের ঘরে।” “ভালই হ’ল।”—বলিয়া স্কুমার শয্যাপার্শবপথ একখানা চেয়ারে বসিয়া বন্ধর হাতখানি ধরিয়া বলিল, “ভাই, আমি তোমার বোনকে বিয়ে করতে পারবো না বলেছিলাম, তাতে তুমি মনঃক্ষুন্ন হয়েছিলে, নয় ?” - “সেটা ত খুব সবাভাবিক।” “না ভাই, তুমি মনঃক্ষুন্ন হয়ো না, আমার উপর রাগ কোরো না, তোমার বোনকেই আমি বিয়ে করবো।" “কেন, কি হ’ল ? সুশোভনা সম্বন্ধে হরিশপ্তকরবাব অমত করলেন ? তবে তোমার মখে এমন হাসি হাসি কেন ? তুমি যে একটি প্রহেলিকা হয়ে দাঁড়ালে হে!” “তোমায় বুঝিয়ে বলছি। হরিশপ্তকরবাব একটা বাধা সম্বন্ধে বিবেচনা করে আজ আমার প্রস্তাবের উত্তর দেবেন বলেছিলেন, জান ত ?” “কাল রাতে তুমি আমায় বলে গিয়েছিলে।” “ওঁর বাধাটা কি শোন । শোভনা ওঁর ঔরস-কন্যা নয়, ওঁর পালিতা-কন্যা, একরকম কুড়িয়ে পাওয়া। ও কি জাতের মেয়ে, তা-ও তিনি জানেন না। আমরা পাকা হিন্দ, হয়ত সব কথা জানলে আমাদের আপত্তি হতে পারে, তাই ছিল ওঁর বাধা। চৌদ্দ বছর পবে, তিন বছর বয়সের সন্দেরী মেয়েটিকে কোথায় কি অবস্থায় তিনি পেয়েছিলেন, সমস্ত আমায় আজ বললেন ।” “কোথার পেয়েছিলেন ?” “লক্ষেীয়ে ।” শনিবামাত্র অমরেন্দ্রনাথ চমকিয়া উঠিল। বলিল, “লক্ষেীয়ে ?” সকুমার বলিল, “হ্যাঁ, লক্ষেীয়ে। যে বদমাইসরা লক্ষেীয়ে তোমার বোনকে চরি করে নিয়ে যায়, তারা ওকে তিনশো টাকায় এক পতিতা সীলোকের কাছে বিক্ৰী করেছিল। হরিশঙ্করবাব তার কিছুদিন পরেই সঙ্গীক লক্ষেীয়ে গিয়েছিলেন। লক্ষেী