পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গলে বেগমের আশ্চৰ্য্য গল্প ΦθΣο বনে পরবে কেমন করিয়া প্রবেশ করল ?” একজন সাহসিকা সখী বলিল,—“আমি যাইয়া ইহার তত্ত্ব লইতেছি।” বলিয় সে নদীতীরে উপস্থিত হইল। এদিকে রাজকুমারের মনে হইল, যদি ইহারা আমাকে ধরিয়া ফেলে তবে আমার প্রাণবিনাশের সম্ভাবনা। • অতএব পাগল সাজিতে হইতেছে। কিন্তু সে সখীও আসিয়া রাজকুমারকে দেখিতে পাইল না, কেবল জলমধ্যে ছারামাত্র দেখিয়া গেল। সে গিয়া মেহেরগেজকে বলিল,—“বাদশাজাদী, যাহা দেখিলাম তাহা কোনও দেবতা অথবা গন্ধবের ছায়া হইবে। এমন সন্দের রপে কখনও দেখি নাই। অথচ কাহাকেও খুজিয়া পাইলাম না।” তাহা শুনিয়া মেহেরঙ্গেজ সেই ছায়া দেখিবার জন্য অধীর হইয়া উঠিল। নদীতীরে গিয়া সেই ছায়া অবলোকন করিবামাত্র তাহার হৃদয়ে মীনকেতনের পঞ্চশর বিন্ধ হইয়া পড়িল। সে আপন একজন দাসীকে কহিল—“কাহার এ ছায়া ? তাহাকে অন্বেষণ করিয়া সত্বর আমার নিকটে আনয়ন কর।” আজ্ঞা অনুসারে দাসী চতুদিকে অন্বেষণ করিতে আরম্ভ করিল। পলাইবার পথ থাকিলে বাদশাজাদা অলমাশ পলায়ন করিতেন, কিন্তু সে উপায় ছিল না। অগত্যা তিনি সেই পথানেই দণ্ডায়মান রহিলেন। ক্লমে দাসী তাঁহার নিকটবত্তীর্ণ হইল। দাসীকে দেখিবা মাত্র তিনি পাগলামির ভান করিয়া হো হো করিয়া হাসিলেন এবং ভূমিতে মাথা রাখিয়া দই তিন বার ডিগবাজী খাইলেন। দাসী তাঁহাকে বলিল—“ওহে পাগল, তুমি কোথা যাও ? বাদশাজাদী তোমাকে সমরণ করিয়াছেন। অামার সঙ্গে আইস।” রাজকুমার কহিলেন—“বাদশাজাদী ? কোন দেশের বাদশাজাদী ? আমি ত শনিয়াছি এ দেশের বাদশাজাদীকে ইন্দরে খাইয়া ফেলিয়াছে।” দাসী কহিল-- পাগল চপ কর। ওসব কথা বলিস না। আয় বাদশাজাদীর কাছে আয়।” রাজকুমার দাসীর সঙ্গে আগমন করিলেন। মেহেরগেজ তাঁহাকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল—“তুমি কে ? কি উপায়েই বা এখানে আগমন করিয়াছ ?” শানিয়া রাজকুমার প্রথমে রোদন করিলেন। পরে হাস্য করিয়া বলিলেন—“শন নাই বাদশাজাদী ? অাজ সহরে বড় মজা হইয়াছে। এক সওদাগরের এক হরিণ ছিল। রাত্রে সে হরিণটা কেমন করিয়া ছাগল হইয়া গিয়াছে। অাব একটা তুলার পাহাড় ছিল, বটিতে সেটা গলিয়া ভূমিসাৎ হইয়া গিয়াছে। আর সেখানে একটা উট চরিতেছিল, বন হইতে একটা বিড়াল বাহির হইয়া তাহাকে গপ করিয়া গিলিয়া ফেলিয়াছে।” এই পৰ্য্যন্ত বলিয়া রাজকুমার পুনরায় রোদন ও হাস্য করিতে লাগিলেন। মেহেরগেজ সখিগণকে কহিল—“কি পরিতাপ ! আহা, এমন সন্দের যুবা পরষ কি করিয়া পাগল হইয়া গেল ? ইহাকে ছাড়িও না, কোথায় বিঘোরে মারা যাইবে । ইহাকে এই প্রমোদকাননেই রাখিয়া দাও। দেখিও কোন প্রকার যত্নের ক্রটি না হয়।” বাদশাজাদা ভাবিলেন, উত্তম হইল। এইবার মেহেরঙ্গেজের সখীগণের নিকট হইতে যে কোনও উপায়ে পারি প্রশে্নর উত্তরটা জানিয়া লইব । তাঁহার রক্ষণাবেক্ষণের ভার পড়িল মেহেরঙ্গেজের সখী দিল-আরামের প্রতি। দিলআরাম প্রত্যহ আসিয়া রাজকুমাবেব পরিচয্যা করিত, তাঁহার সহিত বসিয়া কথোপকথন করিত। ক্ৰমশঃ দিল-আরামের চিত্ত রাজকুমারের প্রতি আকৃষ্ট হইল। সে মন্মথবাণবিধা হইয়া দুঃখে কালযাপন করিতে লাগিল। রাজকুমার পাগলামির ভাণ সব্বদা সমভাবে স্থির রাখিতে পারিতেন না। অনেক সময়েই সহজভাবে দিল-আরামের সঙ্গে কথোপকথন ও হাস্য পরিহাস করতেন। একদিন দিল-আরাম নিজন পাইয়া রাজকুমারকে কহিল—“তুমি কে এবং এস্থানে কেনই বা আসিয়াছ ? তোমার বাড়ী কোথায় ? আমি তোমার প্রেমে পাগল হইয়াছি। তুমি যদি এস্থান হইতে আমাকে তোমার গহে লইয়া চল, তাহা হইলে আমি তোমার চিরमानौ झद्देक्का थकित अव१ बङ्ग नष्टुबा कब्रिब्रा टज्राञान्न बाथि आट्ञाणा कोब्रम्ना निय।” ФУ88