পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আইনের গল্প 8OV মাতঙ্গিনীব স্বামীর ( নামটি শনি নাই ) বাস ছিল নদীয়া জেলার কোনও এক পল্লীগ্রামে। সংসারে কেবল স্বামী, গ্রী ও একটি শিশ্যপত্র। স্বামী বড় গরীব, কিছর ইংরাজি লেখাপড়া শিখিয়াছিল, নানাস্থানে চাকবির জন্য দরখাস্ত পাঠাইত। ক্রমে তাহার চাকরি একটি জটিল, উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কোন এক সহরে । কিন্তু বেতন এত অলপ যে, সে ব্যক্তি স্ত্রী-পত্রকে নিজ সঙ্গে লইয়া যাইতে সাহস করিল না। প্রতিবেশীরা তাহাকে অভয় দিলেন, “তোমার চিন্তা কি বাবা ? আমরা সব রয়েছি, আমরা সব্বদা দেখবো শনবো, তোমার সত্ৰী-পত্রের জন্যে কোনও চিন্তা তুমি কোরো না। যাও গিয়ে কমে' ভত্তি হও, মন দিয়ে কাজকম করলে নিশ্চয়ই তোমার উন্নতি হবে, মাইনে বাড়বে, তখন এসে তোমার সত্ৰী-পত্রকে সেখানে নিয়ে যেও।” যবেক, প্রতিবেশীদের তত্ত্বাবধানে সী ও দই বৎসর বয়স্ক পত্রকে রাখিয়া কম"পথানে গমন করিলঞ্চ সেখানে গিয়া কঠোর পরিশ্রমে সে আপন কায্য করিতে লাগিল । মনিব খসী হইযা মাঝে মাঝে কিছু কিছু করিয়া তাহার বেতন বদ্ধি করিয়া দিতেন। মাতঙ্গিনী, তখনকাব দিনেও লেখাপড়া জানিত। স্বামীর সহিত নিয়মিতভাবে সে ుగా ఆ স্বামী তাহাকে মাসে মাসে খরচের টাকা মনিঅৰ্ডারে পাঠাইয়া | স্বতন্ত্র বাসা ভাড়া করিয়া, সত্ৰী-পত্ৰ আনিয়া বাস করিবার উপযোগী বেতন যখন তাহার হইল, তখন তাহার চাকরি প্রায় তিন বৎসর প্ণ হইয়াছে। স্বামী তখন এক মাসের ছয়টির দরখাস্ত করিল—ছটি মঞ্জরও হইল। সে তখন স্ত্রীকে পত্র লিখিল, “ভগবান এতদিনে মখে তুলিয়া চাহিয়াছেন। এতদিনে আমার এমন ক্ষমতা হইয়াছে যে, বাসা ভাড়া করিয়া তোমাদের আনিয়া নিজের কাছে রাখি। এক মাসের ছটি প ইয়াছি। অমুক দিন হইতে আমার ছয়টি আরম্ভ। অমুক তারিখে বাড়ী পেপছিব, এক মাস বাড়ীতে থাকিয়া, বাড়ী তালা বন্ধ করিয়া, তোমাদের লইয়া এখানে চলিয়া আসিব ।” মাতঙ্গিনী ছিল, অত্যন্ত বাপসী। স্বামীর বিদেশগমনের বছরখানেকের মধ্যেই, তাহার অধঃপতন ঘটিয়াছিল। কুমে প্রতিবেশীরা সকল কথা জানিতেও পারিষাছিল কিন্তু কেহই তাহার স্বামীকে এ অপ্রিয় সংবাদ প্রেরণ করে নাই। পত্র আসিবাব পব, মাতঙ্গিনী ও তাহার জার, মহা ভাবনায পড়িয়া গেল। “তাই ত! এক মাস পরে লইয়া যাইবে, আর দেখাশনা হইবে না।” এই জাতীয় চিন্তাই বোধ হয় । ক্ৰমে তাহাদের পরামর্শ হইল, সে আসকে, রাতারাতি তাহাকে হত্যা করিয়া, লাসে পাথর বাঁধয়া নদীর জলে ফেলিয়া দিলেই হইবে। কেহ জানিবে না শুনিবে না। পরদিন প্রচার করিয়া দিলেই হইবে যে, ভোরে উঠিয়া সে কলিকাতা চলিয়া গিয়াছে। নিদিষ্ট দিনে হতভাগ্য সবামী বাড়ী আসিয়া পেশছিল। প্রবাস-যাপনকালে নিজেকে সকল রকম সখে-সবিধা হইতে বঞ্চিত করিয়া অতি কটে তাহার বলপ বেতন হইতে কিছ কিছু সঞ্চয় করিত। আসিবার সময় এই সঞ্চিত অর্থে, সন্ত্রীর জন্য একযোড়া সোণার বালা সে গড়াইয়া আনিয়াছিল—তাহা স্ত্রীকে উপহার দিল। পথশ্রমে ক্লান্ত ছিল—একটা সকালেই নৈশ-ভোজন শেষ করিয়া পত্রসহ সে শয্যায় আশ্রয় লইল। ছেলেটি তখন তাহাব পাঁচ বৎসরের হইয়াছে। তারপর কি ঘটিল, নদীয়া জজ আদালতে সেই পাঁচ বৎসরের ছেলের মুখে শননে। “একদিন একব্যক্তি আমাদের বাডী আসিল, মাকে জিজ্ঞাসা করায় সে বলিল, “তোর বাবা।” আমি বলিলাম, “আমার একটা বাবা ত রহিয়াছে।” মা বলিল, “এও তোর বাবা, সে বাবার কথা এ বাবকে কিছু বলিস না ।” নতন বাবা আমাকে কাছে লইয়া রাত্রে শয়ন করিলেন। আমার জ্ঞছন্নমুaঞ্জলেন,