Գեր গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ শ্ৰী রাধাকুণ্ডাভিন্ন শ্ৰীগোক্রমের নিত্য-মধ্যাহ-লীলায়ই ভক্তিবিনোদ প্ৰবেশ করিয়াছেন । ভক্তিবিনোদ তঁাহার “নবদ্বীপশতকে’ও গাহিয়াছেন “রাধাকুণ্ড শ্ৰীগোক্ৰমে শ্ৰী রাধার সহ। বিহার সময়ে তব পাদপদ্ম লহ।” T वाऊंब्न-जक्रीड ভক্তি বিনোদ mass বা সাধারণ জনমণ্ডলীর জন্য কতকগুলি সরল অথচ চরমতত্ত্বোপদেশপূৰ্ণ অসংসিদ্ধান্ত ও অসৎসঙ্গ-নিরাসক সঙ্গীত রচনা করিয়াছেন। তাহার “বাউল-সঙ্গীত” ও “দালালের গীত” প্রভৃতি সে-জাতীয় গান। এক সময় বঙ্গদেশ বাউল-সঙ্গীতের ঝঙ্কারে মাতিয়া উঠিয়াছিল। এখনও পল্লীর মজুর, চাষী, দোকানী, নাবিক, জনসাধারণ বাউল-সঙ্গীতের মুৰ্চনায় সাড়া দেয়। এমনকি, পাশ্চাত্ত্য-শিক্ষা-দীক্ষায় অনুপ্রাণিত আভিজাত্যবাদিগণের দরবারেও বাউল-সঙ্গীতের সমাদর দেখিতে পাওয়া যায়। গণশিক্ষার পক্ষে সহজ-গ্ৰাম্যভাষা ও যুক্তিগৰ্ভ বাউল-সঙ্গীতগুলি খুব উপযোগী। কিন্তু জনসাধারণ রাগিণী ও ভাষার ঝঙ্কারে মুগ্ধ হইয়া প্রচলিত বাউলসঙ্গীতগুলির মধ্যেও বাউল-গানের বিচারে কি কি তত্ত্ববিরোধ রসাভাস, সম্ভোগবাদ ও মায়াবাদাদি মারাত্মক বিষ ভক্তিদেবীর চরণে বিবিধ অপরাধক্কপে মিশ্রিত রহিয়াছে, তাহা বুঝিতে পারে না। অদ্বিতীয় ভোক্তা অধোক্ষজ কৃষ্ণের ইন্দ্ৰিয়-তৰ্পণে “বাতুল’ বা ‘বাউল’ না হইয়া অনাদি-বহিৰ্ম্ম খাতা বিশ্বকে স্কুল ও - Digitized at BRCindia.com
