( R ) তাহার স্থলে এই পঞ্চ পৰ্ব্ব বিদ্যাকে স্থাপনই পঞ্চজন অস্বরকে বধকর, যখন, সেইজন্ম সংযমনী পুৰী অর্থাৎ পঞ্চ পৰ্ব্ব বিদ্যা সেই স্থান অধিকার করিল তখন তাহ। শরীরের শোভা এবং অঙ্গ রূপে ব্যবহৃত হয় এবং তাছার ধ্বনি শুনিয়া বিশেষতঃ অবিদ্য গ্রস্ত গণের হৃদয় কম্পিত হয়। সেই জন্য অবিদ্যা গ্রস্ত দুৰ্য্যোধনাদি হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতে লাগিল । “লারো মুনি” কাসার, দক্ষিণাত্যে দ্বাদশ আলোয়ারের প্রথম আলোয়ার। তিনি পাঞ্চজন্যের অবতার বলিয়া থ্যা ত । র্তাহার কণ্ঠ ধ্বনি শুনিলেও সংসারাক্ত গণের হৃদয় বিদীর্ণ হইত। সাধক অজুন “দেবদত্ত” শঙ্খ (বেদ মন্ত্রযুক্ত শুদ্ধধবনি) বাদন করিলেন। দ্বিতীয় সাংখ্যযোগ । ইহার সার মৰ্ম্ম এই। আত্ম নিত্য ও জ্ঞান স্বরূপ, তাহার মৃত্যু নাই, পরিবর্তন নাই। দেহেরই জন্ম মৃত্যু হয়। ষট্বিকার দেহের । কৌমার যৌবন জরীর ন্যায় মৃত্যুও দেহান্তর, পরিবর্তন মাত্র । পুরাতন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া লোকে যেমন নুতন বস্ত্র পরিধান করে, সেইরূপ দেহী বা জীব নুতন দেহ, পুরাতন বা জীর্ণ দেহের পরিবর্তে ধারণ করে। ইহাতে দুঃখ করিবার কিছুই নাই। আর্য ক্ষত্রিয়ের ধৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মযুদ্ধ। ইহাতেই স্বৰ্গ দ্বার উন্মুক্ত হয়। সৌভাগ্যক্রমে সেই যুদ্ধে তুমি ব্রতী হইয়াছ। কৰ্ত্তব্যের অনুরোপে আশ্রমোচিত আৰ্য্যধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান কর । কৰ্ম্মফলের ত্রিগুণময় বেদোক্ত কাম্য কৰ্ম্মের ফলের আশা ত্যাগ কর । ফল কামনা ত্যাগ করিয়া বুদ্ধিতত্ত্বে অর্ণরূঢ় হইলে তখন ব্যবসায়াত্মক বুদ্ধি একরূপে প্রতিষ্ঠিত হইয়। অচল সমাধি লাভ করিয়া থাকে । বাহবিষয় হইতে প্রত্যাহার করিলে প্রজ্ঞ প্রতিষ্ঠিত হয় । ষদ সংহরতে চায়ং কুৰ্ম্মে ইঙ্গানীৰ সৰ্ব্বশ: | ইন্দ্রিয়ানীন্দ্রিয়ার্থেভ্যস্তস্ত প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠি তা । ৫৮২
