পাতা:গুরুদক্ষিণা - প্রভাষ ঘোষ.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুদক্ষিণা বন্ধুত্ব । ভারি ভাব ! কিরে বিষণ, তুই আমার সঙ্গে একা এই ধিংড়া বনে যেতে সাহস করিস না ? বিষণ—না । কিষণ—কেন ? বিষণ-—কেন আবার ! সেদিন তীরটা ত্যাগ ক’রে মহিষটাকে মারলে, লাগলো একটা কচুগাছের পাতায় । আর একটু হ’লে মহিষের শিংয়ের খোচায় প্রাণটা গেছ লো আর কি ! ভাগ্যিসূ একলব্য ছিল,তাইত সে যাত্রা বেঁচে ফিরে এলুম, নিজের বাসায় । [ বসন্ত ও একলব্যের প্রবেশ ] বসন্ত—তুমি যাবে না, ধিংড়ী বনে আমাদের সঙ্গে ? একলব্য—না, আর অকারণে নিরীহ পশু-পক্ষীগুলোর প্রাণ নাশ করবো না । এবার অস্ত্র শিক্ষা করবে। তৃ’টি কারণে । প্রথম—অত্যাচারীর দমন । দ্বিতীয়—আশ্রিতের রক্ষণ । এবার হতে—আমি আর ব্যাধ ব’লে নিজেকে পরিচয় দিতে চাই না—নিজেকে মানুষ ব’লে পরিচয় দিতে চাই । বসন্ত—আমাদের ছেড়ে যাবে ? একলব্য—তা হয়ত হবে । মতে না মিললেই ছেড়ে যেতে হবে । বসন্ত—পারবে বন্ধু ?--ছেড়ে যেতে পারবে ? একলব্য—তা জানি না, তবে পারতে হবে জানি। আমি মানুষ হতে চাই । যারা অস্ত্র ধরতে জানে না, যারা কারুর > ミ