পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহশ্ৰী S8 উচিত । কারণ, ঐরূপ আবর্জন জমাইবার অভ্যাস হইয়া গেলে, শেষে গৃহটি আবর্জনা হইতে রক্ষা করা অসম্ভব হইয়া পড়ে । রান্নাঘর যাহাতে খুব পরিষ্কার থাকে, তাহা গৃহিণী দেখিবেন। পূৰ্ববঙ্গের মেয়ের রান্নাকার্যে খুব নিপুণা, কিন্তু তঁহাদের মধ্যে অনেকেরই পরিষ্কার থাকার অভ্যাস নাই। পীড়ির উপর বসিলেই হয়, তথাপি তাহারা ভূঞে বসিবেন ; অনেকে আবার স্ত্রীলোকের পীড়ার উপর বসাটা অনুচিত মনে করিয়া সেই কুসংস্কারের জন্য বস্ত্ৰাদি শীঘ্রই ময়লা করিয়া ফেলেন। অনেক স্ত্রীলোক হলুদ বা সরিষা বাটিয়া ও তৈল ঘাটিয়া হাত আঁচলে মেছেন । ই চাব। ফলে পবিধেয বস্ত্ৰ নানারূপ খাদ্যদ্রব্যের কিছু কিছু নমুনা বুক পাতিয়া লইয়া চিত্ৰ-বিচিত্র হইয়া পড়ে । র্যাহারা এরূপ করেন, তাহদের ছেলেদের পরিচ্ছন্নতার ভাব কিছুতেই জন্মিতে পারে না । গ্লাসে মাটি আছে, কিংবা তন্মধ্যে জলে পোকা ভাসিতেছে, এগুলিও কেহ কেহ লক্ষ্য করেন না । রাধেন বাড়েন, অথচ গায়ে কালির একটু দাগ নাই, পরিধেয় বস্ত্ৰ ধবধব করি।- তেছে, এরূপ মেয়েও অনেক আছেন, কলিকাতা অঞ্চলে তঁহাদের সংখ্যা বেশী । রাধিবার সময় সেমিজ না পরা নিরাপদ ; অনেকে আমার এ কথা স্বীকার নাও করিতে পারেন । কিন্তু আমাদেব আত্মীয়ের মধ্যে দুই একটি স্ত্রীলোক রান্না করার সময় শাড়ীতে আগুন লাগিয়া অল্পবয়সে মারা পড়িয়াছেন ; সেমিজ পরা না থাকিলে হয় ত তাহারা রক্ষা পাইতেন, এই ধারণা আমাদের হইয়াছে।

  • রান্নার তাড়াতাড়ি করিলে অনেক সময় রান্না মাটী হয়। আগেকার দিনে স্ত্রীলোকের রাধিয়া শিশুদিগের কাহাকেও দিয়া তাহ চাকাইয়া লাইতেন। এখন সে পাঠ উঠিয়া গিয়াছে। যাহা খাইতে দিতে হইবে, তাহা কিরূপ হইল, এটা আগে পরখ করা মন্দ নয়। হয় ত কোন

রান্নাঘর