পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ ο Οζ গহশ্ৰী ব্যাঘাত ঘটিয়াছে। এখন ছোট লোকদের মধ্যে আত্ম-সম্মানের জ্ঞান হইয়াছে, "ভদ্ৰ-গৃহস্থের রোজগারের পথ মতই বন্ধ হইতেছে, মিল ও বড় বড় দোকানপাট ও সহরগুলির শ্ৰীবৃদ্ধির সঙ্গে তাহারা বেশী আয়ের পথ পাইতেছে । তাহার পর জাতিভেদ নূতন ভাবে আবার জমিযী উঠিতেছে, শূদ্র ক্ষত্ৰিয় হইতেছে,—কৈবৰ্ত্ত বৈশ্য হইতেছেন, নমঃ শূদ্র ব্রাহ্মণ হইতেছেন, সুতরাং সমাজে আর কেহ শব্দ থাকিতে প্ৰস্তুত নহে । যে সকল শক্তি-প্ৰভাবে সমাজের উপব এই সকল পরিবর্তন হইতেছে, তাহার উপর আমাদের আর হাত কি ? তবে সুগৃহিণীগণের বাড়ীর চাকরবাকরের উপব একটা কীৰ্ত্তব্য আছে, তাহাই দেখাইয়া দেওয়া আমাদের কৰ্ত্তব্য মনে করিতেছি । সঙ্গাবে আজকাল চাকরীদেবী প্ৰধান কাজ বাজার করা । এই কাজে, তাহাদের বেশ দু’পসিস হইয়া থাকে, সুতরাং একবারের স্থানে দশবার বাজাবে ঘুরিতেও তাহারা আপত্তি করে না । বাজারে জিনিসপত্রের মোটামুটি একটা দীর বাড়ীতে জানা থাকা উচিত। যদি বাড়ীর লোক কোচ চাকরকে সঙ্গে লইযা বাজারে ধান, তবে ভাল ; যদি সেরূপ সুবিধা না থাকে, তবে বাজারে কোন জিনিসের কি দর, তাহা কৰ্ত্তপক্ষোিব মধ্যে কাহাব ও সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন ঘাইলাও জানিযা আসা উচিত । চাকরকে শুধু সন্দেহ করিয়া এ বিষয়ে গালি দেওয়া উচিত নষ্ঠে । তাহাতে সে রাগিয়া যাইবে ; হয় ত সন্দেহও ভুল হইতে পারে। এই জন্য যদি তাহার চক্ষের সম্মুখে দেখান যায়, যে, সে যে দরে জিনিস আনিয়াছে, তাহা হইতে অল্প দরে তাহা পাওয়া যায়—তবে আল তাহার কথা কহিবার উপায় থাকে না । বাড়ীতে মাছ প্ৰভৃতি যদি মাঝে মাঝে ওজন করিয়া লওয়া হয়, তবে বুঝিতে পারা যাইবে যে, ঠিক আনিয়ছে কি না । রোজই দাড়িপাল্লা হাতে লইয়া বাজারের জিনিসপত্র 53