পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br○ १श्धै ও কষ্ট সম্বন্ধে অনেক বক্তৃতা গৃহ-কৰ্ত্তারা আমাকে শুনাইলেন। একজন সামান্য প্ৰজা বলিল, “মহাশয়, এই জায়গায় যেরূপ নেংড়া, ফজলী আমের গাছ ছিল, তাহার তুলনা বাঙ্গালা দেশে নাই, এবং এই টবগুলি যেখানে আছে, সেখানে আগে প্ৰাতঃকালে বড় বড় গোলাপ ফুটিত ও সন্ধ্যাকালে চাপা, রজনীগন্ধা, নাগেশ্বর ও সন্ধা-মালতী ফুটিয়া স্থানটিতে যে দ্বিতীয় নন্দনবনের সৃষ্টি করিত।” সে প্রজাটি গোপনে যে দুঃখের সহিত এই BDBDBm DDDSDBBSD0 uBDBD BB uyy BDBDDS মেয়েরা, এই সমস্ত বিষয়ে পুরুষের রুচি বিগড়াইয়া না যায়, তাহা দেখিবেন। ফলের বাগান আমাদের জীবন-যাত্রার পক্ষে দরকার, উহা নিতান্ত বাজে সামগ্ৰী নহে। তাহা হইলে ভগবান প্ৰতি-গৃহের কোণে, রাস্তাব ধারে এবং পুকুরপাড়ে যথা-তথা উহাদিগের জন্য আসন রচনা করিয়া রাখিবেন কেন ? উচ্চারা ক্লান্তির অপনোদন করে, মনকে প্ৰফুল্ল করে, উহাদের গন্ধ ও শোভা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী; গৃহস্থ উহা বাদ দিয়া বাড়ী করিলে তাহা সিন্দূর-শূন্য রমণী-ললাটের মত অশোভন হইবে। পূর্বে পল্লীতে এমন বাড়ী ছিল না, যাহাতে ফুলের বাগান দেখা না। যাইত ! এখন সহরের অধিকাংশ বাড়ীতে বিলাতি মাটীর রক বা চাতালগুলি ধরণীর বক্ষে পাথর চাপা দিয়া রাখিয়াছে, ফুলের গাছ তাহ ভেদ করিয়া উঠিবে কিরূপে ?