থাক পড়ি হাড়িক তুলিবার হাত খান নড়াইতে না পাইল।
সৌগ হনুমান হাড়ির হস্তত প্রনাম জানাইল॥
অন্তর ধিয়ানে হাড়ি সিদ্দা জানিতে পারিল॥
বেটা নিকট আসিয়া ডাকায় আমাক গুরু গুরু বলিয়া।১০২০
লঙ্কাএ জাএঞা গালি দিলেন শালি বলিয়া॥
জা জারে হনুমান বেটা তোক দিলাম বর।
মুখ পোড়া বানর হৈয়া থাক শয়ালের ভিতর॥
রাম রাম হনুমান তার শরিলে আরও জপিল।
আপনার সিমানাএ জাইয়া বেটার গাএ হইল বল॥
লম্প লম্প করি ল্যাজ বাড়াইতে নাগিল।
এক প্যাঁচ দুই প্যাঁচ তিন প্যাচ দিল॥
দিয়া হাড়িক ভিড়িয়া বান্ধিল॥
ক্রমে ক্রমে হাড়িক টানিতে নাগিল॥
হাড়ি বলে হারে বেটা এই তোর ব্যবহার।
খুদ্র হইয়া নড় বেটা আমার বরাবর॥
হু হু বলি হাড়ি হুঙ্কার ছাড়িল।
খুরুপা বান মারিলে তুলিয়া॥
হনুমানের ল্যাজ হাড়ি ফ্যালাইল কাটিয়া॥
ছিড়া ল্যাজ নিলে হনুমান বোকনা করিয়া।
রাম বলিতে বলিতে চলিল হাটিয়া॥
হাড়ি বলে হনুমান তোক দিলাম বর।
মুখ পোড়া বানর হএ থাক রাজ্যের ভিতর॥
টিকরা ডাঙ্গাইয়া নিবে ত্যালেঙ্গা সকল॥
মুনির বাক্য লঙ্ঘন না জায়।
জৎ ঘড়ি শাপিল হাড়ি তৎ ঘড়ি পোআইল॥
গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে পাই—
হনুমান বলিয়া হুঙ্কার ছাড়িল।
কিছু কিছু বৃক্ষ মাড়াল লাগাইল॥