পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য > e సె মহাজনগণের সাহিত্য লক্ষ্য করি। দ্বিতীয়যুগ-শ্ৰীচৈতন্ত্যসমসাময়িক ও শ্রীচৈতন্য-পরযুগ অর্থাৎ মহাপ্রভুর প্রকট-লীলার পরে যে-সকল সাহিত্য প্রকাশিত হয়েছিল, সেই-সকল সাহিত্যের যুগ। তার মধ্যে শ্ৰীপাদ ঈশ্বরপুরীর কৃষ্ণলীলামৃত”, শ্ৰীপাদ বিষ্ণুপুরীর ‘ভক্তিরত্নাবলী’,শ্ৰীভাগবতআচার্য্যের ‘কৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিণী, মৈথিল-কবি রঘুপতি উপাধ্যায়ের বিভিন্ন শ্লোকাবলী, শ্ৰীমন্মগপ্রভূর শিক্ষাষ্ট্রক এবং গোস্বামিগণের ও বৈষ্ণব-মহাজনগণের বিভিন্ন সাহিত্য-গ্রন্থ ও পদাবলী। তন্মধ্যে শ্ৰীমুবারি গুপ্তের কড়চা, কবিকর্ণপুরের চৈতন্যচন্দ্রোদয় নাটক প্রভূতি, শ্ৰীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের শ্রীচৈতন্যভাগবত, শ্ৰীল কবিরাজ গোস্বামী প্রভুর শ্ৰীচরিতামৃত প্রভূতি ও স্থান পালে। তৃতীয়যুগ—গোস্বামি-পরবৰ্ত্তিযুগ অর্থাৎ মহাপ্রভুর অনুগত বৃন্দাবনীয় গোস্বামিবর্গ এবং শ্ৰী ল কবিরাজ গোস্বামী প্রভৃতির অপ্রকট-লীলার পরবৰ্ত্তিযুগ –যা কে শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য, ঠাকুর নরোত্তম ও শুামানন্দ-প্রভুর যুগ বা গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যের মধ্যযুগ বলা যেতে পারে। এই যুগেও পদাবলী-সাহিত্য অনেক বিস্তার লাভ করেছিল। চতুর্থঘুগ—ঐবিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী ঠাকুর ও গৌড়ীয়বেদান্তাচাৰ্য শ্ৰীপাদ বলদেব বিদ্যাভূষণ-প্রভূর যুগ। এর সঙ্গে চক্রবৰ্ত্তি-ঠাকুরের শিন্যান্থশিষ্য শ্ৰীনরহরি চক্রবত্তীর ‘ভক্তিরত্নাকর’, ‘নরোত্তমবিলাস’ প্রভৃতি গৌড়ীয়সাহিত্যের