পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*) o গৌড়ীয়-সাহিত্য বিশ্বকে স্বরাটের সেবায়—স্বরাটের সাধনায়—স্বরাটের সুখগৌরবে উদ্ধৃদ্ধ করে তুলতে পারে না, তা’কে কি ক’রে বিশ্ব-সাহিত্য বা বিশ্ব-ভারতী বলা যেতে পারে ? ঐ শুনুন, শ্ৰুতি-সাহিত্য কি বলছেন,— “শৃন্বন্তি বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রাঃ ।” বিশ্বকে অর্মর ক’রে দিতে পারে যে সাহিত্য— অচৈতন্ত তাড়িয়ে চেতন ক’রে দিতে পারে যে সাহিত্য— বিশ্ব-চেতনায় যুগান্তর এনে দিতে পারে যে সাহিত্য, তা’রই নাম—বিশ্ব-সাহিত্য—তা’রই নাম—চৈতন্ত-সরস্বতী—মহাবিশ্ব-ভারতী—মহাভারত-ভারতী—ভাগবত-ভারতী । প্রাকৃত-সাহিত্য সমাজের সম্যক হিত সাধনে অসমর্থ সেক্ষপীয়র-সাহিত্য, সানিন-সাহিত্য, কৃষ্ণচন্দ্রীয়যুগেব রায়গুণাকরী-সাহিত্য বা আধুনিক বাংলার সাহিত্য সমূহ যদি স্বরাটের সেবা হ’তে বিচ্যুত হ’য়ে পড়ে, তা হ’লে সে সাহিত্য সংহিত’ অর্থাৎ সমাজের সম্যকৃ হিত-সাহিত্যের যেট প্রকৃত তাৎপৰ্য্য, সেট রক্ষা করতে পারে না। মহাবিশ্বসাহিত্যের ঋষি তা’র বীণার; গানে একদিন এ কথা গেয়েছিলেন,— 4ন যন্ধচশ্চিত্রপদং হরের্যশো জগৎপবিত্রং প্রগ্ণীত কৰ্ছিচিৎ। তত্ত্বায়সং তীর্থমুশন্তি মানসা ন যত্ৰ হংসা নিরমন্ত্যশিকৃক্ষয়াঃ ॥