পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য లి ষ আত্মানমেব প্রিয়মুপাস্তে ন হাস্ত প্রিয়ং প্রমাযুকং ভবতি” প্রভৃতি শ্রুতি সেই গৃঢ় দেবতা গোপীজনবল্লভ রসিকশেখরেরষ্ট সাহিত্য-সৌরভ বিস্তার করছেন। “ওঁ আহস্ত জানন্তে নাম চিদ্বিবক্তন মহস্তে বিষ্ণে মুমতিং ভজামহে” প্রভৃতি ঋক্ সৰ্ব্বসাহিত্য-স্ফোটখ্রহ্ম ত্রিভুবনমঙ্গল দিব্যনামধেয়ের সাহিত্যেরই স্তব করছেন। আবার স্বত্রসাহিত্য “জন্মাদ্যস্ত যতঃ”-স্বত্ৰ হ’তে সাঙ্কর্ষণ-স্ব ত্র ও নিগমকল্পতরুর গলিত-ফল নৈমিষ-সাহিত্য-সঙ্গীতের সুর ধ’রে “সৰ্ব্বোপেতা চ তদর্শনাং”, “লোকন্তু লীলাকৈবল্যম্’ ও সৰ্ব্বোপসংহারে “ভোগমাত্রসামালিঙ্গাচ্চ” স্বত্র-সঙ্গীতে গৃঢ়ভাবে বল্লভাকুল-সীমন্তমণির স্বরূপ ও লীলাকৈবল্যের কথাই গান ক’রেছেন। ভাগবত-সাহিত্য বা নৈমিষ-সাহিত্য সর্ববসাহিত্যের অকের ভাগবত-সাহিত্য বা নৈমিষ-সাহিত্য হ’তেই জগতের সব সাহিত্য উদ্ভূত হ’য়েছে, হচ্ছে ও অনন্তকাল হ’তে থাকবে। ভাগবত-সাহিত্য সৰ্ব্ব-বেদান্ত-সুত্র-সাহিত্যের সার—সৰ্ব্ব শ্রীতি-সাহিত্যের সার। ভাগবত-সাহিত্য স্বত্র সাহিত্যের অকৃত্রিম ভাস্যভূত। পরস্পর আপাত-বিরোধী শ্রুতির ও আপাত-বিরোধী সূত্রের সমন্বয়-সাহিত্যই এই নৈমিষসাহিত্য। এই সাহিত্যের স্রষ্টা নেই, এই সাহিত্য স্বরাট, পুরুষের নিঃশ্বসিত বাণী । ইহা কখনও কখনও সনাতন