পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোড়ীয়-সাহিত্য ३१ গৌড়ীয়-সাহিত্য ও দর্শন অনেকে মনে করেন, সাহিত্য যখন সৌন্দৰ্য্যময়, রসময়, তখন সেখানে দার্শনিক শুষ্কতার (?) স্থান নেই ; সাহিত্যে কেবল অবলীলতা ও ভাবশীলতার মুক্তবর স্বৈরিণী-ভাষার ইন্দ্রজাল স্বষ্টি করে সকলকে সম্মোচিত করবে। কিন্তু এরূপ সন্মোহন-সাহিত্য-সোমরসের রাজ্যে উৰ্ব্বশী-বস বা মেনক-রস সৃষ্টি ক’রে পাশ্চাত্য পণ্ডিত থিওক্রাইটাসের কথিত নীরব-বঞ্চক প্রাকৃত-সাহিত্য সৌন্দর্য্যের চরম পরিণতি বিরসের অন্ধকূপে পাতিত করতে পারে। - সাহিত্য ও সুদর্শন পৃথক্ থাকৃতে পারে না। হলদিনী ও সন্ধিৎ কখনও পৃথক্ হ’তে পাবে না। যেখানে সম্বিং, সেখানে হলাদিনী, যেখানে হলাদিনী, সেখানে সন্ধিৎ— মৃগমদ এবং তা’র গন্ধে যেরূপ অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ। তাই গৌড়ীয়-সাহিত্য—গৌড়ীয়-দর্শনেরই বিগলিত-বিচিত্রসৌন্দৰ্য্য-প্রবাহ । গৌড়ীয়-দর্শনই ‘জ্ঞান-বৈরাগ্য-ভক্তিসহিত ত্রিবেণী-ধারায় বিগলিত হয়ে স্বরাট সাগর-সঙ্গমের অভিসারে চলছে। গৌড়ীয়-সাহিত্যে এই ত্ৰিধারা নিত্য প্রবাহিতা। গোস্বামিগণের সাহিত্য-সাহিত্য-সম্রাট, ত্ররূপের সাহিত্য এই ত্রিবেণী-সঙ্গমের অপূৰ্ব্ব আদর্শ। তাই বুঝি সাহিত্য-নায়ক গোঁড়ায়ের ঠাকুর এই সাহিত্য-ত্রিবেণী