পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য లలి সাহিত্যে-স্বত্র-সাহিত্যে যে গৌড়ীয়-সাহিত্যের নায়ক গুঢ়দেবত রসরাজ গ্রামসুন্দরের কথাই—পরমাক্ষরাকৃতি দিব্যনামধেয়ের কথাই অসম্প্রসারিতভাবে কীৰ্ত্তিত হ’য়েছে-—একথ। প্রচ্ছন্ন-ভণবধিমুখতার পরচক্ষু নিয়ে আমরা দেখতে পাই না । তাই বেদ-বেদান্তের ভিতরে কিরূপে শ্যামসুন্দরের সামোদগানের সম্পুট স্বরক্ষিত রয়েছে, পূর্ণপ্রজ্ঞপাদ সুপ্রাচীন সাঙ্কর্ষণ-স্বত্র উদ্ধার ক’রে তা’ দেখিয়েছেন—যা’র খবর বেধি হয় আমরা অনেকেই রাখি না । ভাগবত-সাহিত্য ও শ্রীরাধিক। তার পর প্রশ্ন ওঠে—ভাগবতে গৌড়ীয়-সাহিত্যের নায়িকার নাম নাই কেন ? কেউ কেউ আবার সর্বসাহিত্যের একমাত্র আকর এই ভাগবত-সাহিত্য-খনিটীকে একেবারে উপড়ে ফেলে দিবার আস্বরিকতা দেখাতেও অগ্রসর হয়েছিলেন। নৈমিষ-সাহিত্যকে আধুনিক ব’ল্বার চেষ্টাও হ’য়েছে। এগুলি সেই পূৰ্ব্বোক্ত অভিজ্ঞতাবাদেরই বিভিন্ন উত্তেজনা বা উৎপাত । যেমন একদিন দেহবিলাসী চাৰ্ব্বাকাদি বিশাল বেদ-বৃক্ষকে ভণ্ড-ধূৰ্ত্ত-নিশাচরের স্বঃ ব’লে উপড়ে ফেলে দেবার চেষ্টা ক’রেছিল, তেমনি সৰ্ব্ব-সাহিত্য-খনি নৈমিষ-সাহিত্যকে এক সম্প্রদায় —যা”রা দেখলেন কৃষ্ণের স্বেচ্ছাচারিত—কৃষ্ণের সর্বতন্ত্রস্বতন্ত্রত থাকলে তাদের কল্পিত স্বেচ্ছাচারিত ও স্বতন্ত্রতায় (يا