পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w)8 গৌড়ীয়-সাহিত্য বাধা পড়ে—কৃষ্ণের সৰ্ব্বেন্দ্রিয় থাকলে তাদের ইন্দ্রিয়চালনার পথে কণ্টক পড়ে, র্তা’র সাহিত্যের অদ্বিতীয় স্বরাটু-নায়ককেই সৰ্ব্বসাহিত্য হ’তে বিচ্যুত করার চেষ্টা করলেন। তারা মনে করলেন, সৰ্ব্বসাহিত্য র্তাদেরই থাকৃবে, আর ‘পরম বলে যদি কিছু স্বীকার করা যায়, তা’ হ’লে তা’তে সৰ্ব্ব-রাহিত্যের আরোপ করা হবে । এরূপ অন্তর্নিহিত প্রচ্ছন্ন-নাস্তিক্য-চেষ্টা নিয়ে রাবণ যেরূপ একদিন মনে ক’রেছিল, রামচন্দ্রকে কিছুতেই সীতা-সতীর সাহিত্য অনুমোদন করা যাবে না, সেইরূপ অদৈববুদ্ধির উত্তেজন হ’তেই স্বরাট পুরুষ র্যারাজকে কিছুতেই র্তার স্বরূপ-সাহিত্য প্রদত্ত হ’বে না ব’লে একটা অবৈধ বিদ্রোহ-চেষ্টার উৎপত্তি হ’লে ! আবার প্রচ্ছন্ন-ভোগী আর একশ্রেণী স্বরাটের সাহিত্য-সুন্দরীকে তাদের হস্তামলক মনে ক’রে তাদের ইন্দ্রিয়-লালসার ইন্ধন যোগাবার জন্ত, অপ্রাকৃতকে যেন বল-প্রয়োগে কামের ভূমিকায় টেনে আনবার চেষ্টা দেখাতে থাকৃলো। যেমন, একদিন ভারতচন্দ্র প্রথমে পুরুষোত্তমে সাতাসন মঠে বাসের অভিনয়, বুন্দাবন-বাসের অভিনয়, বেষ-গ্রহণের অভিনয় দেখিয়ে উজ্জ্বলনীলমণি, গোবিন্দলীলামৃত”, “জয়দেব’, ‘চণ্ডীদাস’, ‘বিদ্যাপতি’, ‘রায়ের নাটকগীতি’ প্রভৃতি অপ্রাকৃত সাহিত্যিকগণের গ্রন্থ অপরিপক্কাবস্থায়ই স্পর্শ করবার প্রয়াস ক’রেছিলেন, আর তৎফলস্বরূপ অপ্রাকৃত শৃঙ্গার-রস হ’তে