পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ○? ভাবি-পরিণাম কেন, প্রত্যক্ষ পরিণাম কি হ’বে ও হচ্ছে, সামাজিকগণের তা’ চিন্তা করবার অবসর নেই । ভাগবত-সাহিত্যে ত্রীরাধাপ্রমুখা-গোপীগণের নাম স্পষ্ট নাই কেন ? মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিগণ সমাজের এই ভাবী পরিণাম দিব্যচক্ষে দেখেছিলেন, তাই তারা “নৈতৎ সমাচরেজ্জাতু মনসাপি হনীশ্বরঃ” বাক্যের মর্য্যাদ-স্থাপন-কল্লে—“অতএব কহি কিছু করিএ নিগুঢ়। বুঝবে রসিক ভক্ত না বুঝিবে মূঢ় ।” “অনয়ারাধিতে নূনং’ শ্লোকে কেবল অপ্রাকৃত রসিক ভক্তগণের জন্যই সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠা নায়িকার সেবাসাহিত্যের ইঙ্গিত ক’রেছেন । স্বরাটুম্বন্দরের সাহিত্যস্বরূপিণী বর্ষভানপীর নাম ইতর-সাহিত্যে রতি থাকা কাল পর্যন্ত কখনই শ্রুতিগোচর হয় ন—শ্রীতিগোচর হয়েছে মনে হ’লে ও ‘কাণের ভিতর দিয়া মরমে’ প্রবেশ করে না। সে জন্যই শ্রীরাধার নাম নৈমিষ-সাহিত্যে ব্যক্ত ক’রে বল। হয় নাই । শ্ৰীল জীবগোস্বামিপাদ সন্দর্ভে ব'লেছেন— “প্রথমং নামঃ শ্রবণমন্তঃকরণশুদ্ধ্যর্থমপেক্ষ্যম্। শুদ্ধে চান্তঃকরণে রূপ-শ্রবণেন তদুদয়যোগ্যতা ভবতি । সম্যগুদিতে চ রূপে গুণানাং স্ফুৰণং সম্পদ্যেত, সম্পন্নে চ গুণানাং স্ফুরণে পরিকরবৈশিষ্ট্যেন তদ্বৈশিষ্টং সম্পদ্যতে।” অর্থাৎ প্রথমে