পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য byፃ চ’লেছে। তথা-কথিত বৈষ্ণব-সমাজ ও সাহিত্যিকগণ— য’দিগকে অলঙ্কারশাস্ত্রের পরিভাষায় “সতৃণাভ্যবহারী” বলা যায়, তারা মল-মধুর একাকারবাদী হ’য়ে পরমাদরের সঙ্গে ঐ সকল অপসাহিত্য গ্রহণ করছেন। এর কারণ আর কিছুষ্ট নয়,—সে সকল অপসাহিত্য আমাদের অর্ণপাত ইন্দ্রিয়তৃপ্তিকর, আমাদের ভোগোন্মুখ-কর্ণ-রসায়ন।

  • ভক্তমালে’ তত্ত্ববিরোধের উদাহরণ

লালদাসের নামে প্রচলিত যে ‘ভক্তমাল’ দেখতে পাওয়া যায়, তাতে স্থানে স্থানে যে সকল তত্ত্ববিরোধপূর্ণ কথা রয়েছে, তা’কে গৌড়ীয়-সাহিত্যের অন্তর্গত বলতে গেলে সাহিত্যিক-গুরুগণের অবমানম। এবং সাহিত্যে জঞ্জালময় উপকরণ প্রবেশ করাবর পক্ষপাতিত্ব নিতে হয় । আমরা বাহুল্য-ভয়ে এপানে একটা মাত্র উদাহরণ উদ্ধার করছি। লালদাসের ‘ভক্তমালে’ শঙ্করাচার্য্যের যে চরিত্র বর্ণিত হ’য়েছে, তা’তে লেখা আছে,—“শঙ্করাচাৰ্য্য অভুক্তবৈরাগী ছিলেন ; কিন্তু তার রাধাকৃষ্ণের লীলা আস্বাদন করবার প্রবল ইচ্ছা হওয়ায় তিনি এক মৃত রাজার শরীরে প্রবেশ ক’রে সেই রাজার সুন্দরী মহিষীগণের সঙ্গে বিহার করতে লাগলেন ; কেননা, প্রাকৃত রসাস্বাদনের অভিজ্ঞতা না থাকূলে অপ্রাক্কত-রসাস্বাদনে প্রবেশ-লাভ হয় না !!” “ভক্তমালে’র বাক্য এইরূপ,—