পাতা:গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিহারীলাল চক্রবর্তী.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পতন । করিতে করিতে সুখে সুবায়ু সেবন, সম্মুখ উদ্যানে নাহি করেন ভ্ৰমণ । আর সেই সব মালী সোৎসাহ অন্তরে, ফুলগাছ সকলের পাট নাহি করে। সেই সব ফুল ফুটে নাচিয়ে বাতাসে, আর নাহি অন্তরের আহলাদ প্ৰকাশে । আর সেই শিখী কোরে কলাপ বিস্তার, দেয় না প্রভুর কাছে নৃত্য উপহার। আর গৃহিণীর দাসী হাসিহাসি মুখে, আসে না সংবাদ নিয়ে প্রভুর সম্মুখে ; আর নাই দাসদের কৰ্ম্মে তাড়াতাড়ি, লোক জন আসাযাওয়া, আসা যাওয়া গাড়ি । যে ভবন সদা যেন উৎসব-ভবন, সে ভবন এবে যেন বিজন কানন । হয়েছে সৌভাগ্যসূৰ্য্য যেন অস্তমিত, কিম্বা যেন গৃহপতি নাহিক জীবিত। হায়রে সাধের সুখ, তোমার সদ্ভাবে, সব হয় আলো, কালো তোমার অভাবে ! প্ৰথমে প্ৰবেশ করি প্রথম মহলে, কাহাকেও দেখিতে পোনুন কোন স্থলে । দ্বিতীয়ে পশিয়ে, যাই সোপানে উঠিতে, হেরিলেমি গৃহিণীকে নামিয়ে আসিতে ।