পাতা:গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিহারীলাল চক্রবর্তী.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰেমপ্রবাহিণী । । হৰ্ম্ম্যের দুৰ্দশা হেরে তত কিছু নয়, এর ভঙ্গি দেখে যত জন্মিল বিস্ময়। একেবারে পরিবর্তন বসন ভূষণ, , শ্ৰী ছাদ রীতি নীতি চলন বলেন । আগে পরিতেন ইনি স্বন্দর গারদ, অথবা শাটিন শাটী সাদা বা জারদ । এখন গোলাপী বাস জলের মতন, জমিময় নানাবর্ণ ফুল সুশোভন । আগে শুদু করে বালা, মতিমালা গলে, এবে চন্দ্ৰ হার শুদ্ধ কটিতটে দোলে । সোণার চিরুণী ফুল শোভিছে মাথায়, হীরাকাটা মল শুদ্ধ পরেছেন পায় । আগে চুল বঁাধিতেন। যেমন তেমন, এখন বিনুনে খোপা আতার মতন। যেন মধুকর মালা আরক্ত কমলে, কুঞ্চিত অলক দুই দুলিছে কপোলে। অধরে অলক্তরস, নয়নে অঞ্জন, কপোলে কুমকুমচূর্ণ, ললাটে চন্দন । , সর্বাঙ্গে ফুলোল মাখা, কানেতে আন্তর, বসনে গোলাপ ঢালা গন্ধে ভাবু ভাবু } হাতে গোলাপের তোড়া ঘোরে অনিবার, তুলে ধোরে শুকিছেন এক এক বার।