পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আমাদের জ্যোতিষ

নক্ষত্র চেনা সম্বন্ধে যাহা লিখিলাম, তাহা পড়িয়া তোমরা হয় ত মনে করিতেছ, নক্ষত্রদের চিনিবার এতই কি দরকার! পৃথিবীর খবর না লইলে আমাদের চলে না, তাই ভূগোল পড়া দরকার; কারণ দেশ বিদেশে চলা-ফেরা করিতে হয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য চিঠি-পত্র লিখিতে হয়, কিন্তু আমরা ত আকাশের গ্রহনক্ষত্রে বেড়াইতে যাই না, তবে কেন আকাশকে এত ভাগ করিয়া তাহাদের চিনিয়া রাখা হয়?

 এই রকম প্রশ্ন তোমাদের মনে হওয়া আশ্চর্য্য নয়। কিন্তু আকাশের গ্রহনক্ষত্র চন্দ্রসূর্য্যের গতিবিধি লইয়া সংসারের যে-সব কাজ-কর্ম্ম চলে, তাহার কথা শুনিলে তোমরা বুঝিবে নক্ষত্র-মণ্ডলকে না চিনিলে একবারেই চলে না।

 আজকাল আমরা সমস্ত দিনটাকে কত রকমে ভাগ করি মনে করিয়া দেখ। আমাদের সেকেণ্ড আছে, মিনিট আছে, ঘণ্টা আছে। তার পরে আবার প্রহর, দণ্ড, পল, বিপল, কত কি আছে। অল্প দামের ঘড়ি এখন যেখানে সেখানে পাওয়া যায়, কাজেই সময়ের হিসাব করিতে আমাদের কষ্ট হয় না। কিন্তু অতি প্রাচীনকালে আমাদের পূর্ব্বপুরুষদিগের এ সুবিধা ছিল না। কাজেই চন্দ্রসূর্য্যের চলাফেরা দেখিয়াই তাঁহাদের সময় ঠিক্ করিতে হইত। আবার চন্দ্র সূর্য্যের গতি ঠিক্ করিবার জন্য নক্ষত্র চেনার দরকার হইত। এই