পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব । পিতৃভূমি। ফলদ্বয় একই বৃক্ষে উৎপন্ন হইয়া দুই বিভিন্ন গতি প্রাপ্ত হইয়া থাকে। ইহাতে দোষ কাহার ? ফলের দোষ কি ? কাৰ্য্যকারণসংযোগে তাঁহাদের যাহার ভাগ্যে যাহা ঘটবার তাঁহাই ঘটিল ; অতএব নিয়তি প্রবল। কৃত-আয়োজনের যে উপার্জিত ফল, তদ্যুৎপাদিক শক্তির নাম নিয়তি। ইহার অন্যতর আখ্যা ভাগ্য। অথবা, নিয়তি এই বিশ্ববিরাটশীর্ষে নিয়ত দেবীরূপে দ্যোতনশীল ; অনমিত, আচলিত, অটলিত, নিত্য স্বস্বভাবে প্রভাময়ী ; শ্মশানঘৃদয় ও স্বর্গসোপান, দোষ ও গুণ, উভয়নিৰ্ব্বিশেষে অখণ্ডনীয়া কৰ্ম্মৈকফলদা। যৎকর্তৃক যে ভাবে ও যেরূপে কাৰ্য্যকারণপ্রয়োগবিধানে অর্চিত হয়েন, ইনি তাহার নিকট সেইরূপ ভাবে প্রতীয়মান হইয়া থাকেন। অতএব উপস্থিত শুভাশুভের কারণ অর্চনাপ্রণালীকে বলিতে হইবে, নিয়তি নহেন। বৃক্ষস্থ ফল জড়বস্তু, সে অর্চনার উপর স্বেচ্ছাবিহীন, সুতরাং বলিতে হইবে সে অপরের ইচ্ছায় চালিত। কিন্তু কে সে ‘অপর’ এবং কেনই বা সে ফলের ভাগ্যবিধায়ক অর্চনার অনুষ্ঠান করিয়া থাকে, এবং ফলেরই বা তাহার সহিত সম্বন্ধ কি ? আর মনুষ্য—তাহারাত অজড় ও জ্ঞানময় ; তাহারা স্বয়ং, ন তাহারাও অপরের ইচ্ছা দ্বারা চালিত হইয়া থাকে ? কে ইহার মীমাংসা করিবে ?